উত্তরকন্যায় প্রশাসনিক সভা থেকে সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বাড়ানো নিয়ে রাজ্য পুলিশকে বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। যদিও এই রাজ্যে বা ভিনরাজ্যেও যেসব বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা ধরা পড়ছে তাঁদের মধ্যে অধিকাংশরাই বাংলার সীমান্তকে করিডোর হিসেবে ব্যবহার করেছে বলে স্বীকারও করেছেনয়। এবং বিগত কয়েকমাস ধরে সীমান্ত লাগোয়া এলাকা থেকে ধরাও পড়ছে বহু বাংলাদেশি। এই অবস্থায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কড়া বার্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে এই নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনীতি শুরু করে দিয়েছে বিরোধীরা।

অনুপ্রবেশ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমালোচনা অগ্নিমিত্রা পালের

বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালের মতে, “গত ১৪ বছর ধরে রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এত বছর ধরে আমরা দেখছি যে তিনি দুরকম কথা বলেন। জনগনের সামনে এক কথা, আবার তাঁদের পেছনে আরেক কথা। উনি রাজ্য পুলিশকে আগেও এই ধরনের নির্দেশ সকলের সামনে দিয়েছেন। কিন্তু তারপরেও কিছু হয় না। আসলে ওনার ভোটব্যাঙ্ক ভরনোর জন্য রাজ্যে যে কাউকে ঢুকিয়ে দিতে পারেন, সে বাংলাদেশি হোক, রোহিঙ্গা হোক বা জঙ্গি হোক, এই ব্যাপারে তিনি ভেবে দেখেন না”।

দেখুন অগ্নিমিত্রা পালের বক্তব্য

বিএসএফ পোস্ট নিয়ে মন্তব্য অগ্নিমিত্রার

অগ্নিমিত্রা আরও বলেন, “সামনেই ২৬-এর নির্বাচন রয়েছে। ফলে এই কথা কতটা প্রমাণিত হয়, তা সময়ই বলবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দফতর থেকে আগেই বলা হয়েছিল যে সীমান্তবর্তী এলাকা শক্তিশালী করার জন্য ৭২টি বিএসফ পোস্ট করতে হবে। সেই জন্য রাজ্যকে জমি দিতে বলা হলেও রাজ্য সরকার সেই নির্দেশ শোনেননি”।