কলকাতা, ২৯ জুলাই: এবার মুকুল রায়কে (Mukul Roy) আটকে দেওয়ার চেষ্টা করছে রাজ্য। বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করল ব্যাংকশাল কোর্ট। বড়বাজার থানার একটি মামলায় তাঁর ধারাবাহিক হাজিরা না দেওয়ায় সোমবার ব্যাংকশাল কোর্টের অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা (Arrest Warrant) জারি করেছেন। এবং বড় বাজার থানার ওসি-কে আদালতের নির্দেশ, এক মাসের মধ্যে তা কার্যকর করতে হবে। এদিকে দলের নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার খবর চাউর হতেই বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের মধ্যে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। আরও পড়ুন-'দিদিকে বলো': জনতার অভিযোগ শুনবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যে নম্বরে ফোন করলেই দিদির কাছে সরাসরি পৌঁছে যাওয়া যাবে
এই প্রসঙ্গে মুকুল রায়ের আইনজীবী এদিন আদালতে জানিয়েছেন, এই মামলার বিরোধিতা করে তাঁর মক্কেল দিল্লি হাইকোর্টে পিটিশন দাখিল করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক বলেন, পিটিশন দাখিল করা মানে এই নয় যে, তিনি দিনের পর দিন হাজিরা দেবেন না। আদালতের নির্দেশ, ২৯ অগস্টের মধ্যে এই নির্দেশ কার্যকর করতে হবে। এমনিতেই যেকোনও দিন তাঁকে হাজিরার তলব পাঠাতে পারে সিবিআই।
তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন বলেই যে সারদা তদন্ত থেকে মুকুল রায়ের নিস্তার মিলেছে এমন নয়। দিওয়ালির আগেই সারদা তদন্তের একটা হেস্তনেস্ত করতে চায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তাই ফের তৃণমূলরে নেতানেত্রী ও রাঘব বোয়ালদের ডেকে পাঠানোর কাজ শুরু হয়েছে। যখন সারদা কেলেঙ্কারি ঘটে তখন তো তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড ছিলেন আজকের বিজেপি নেতা মুকুল রায়। তাই সারদা মামলার নিষ্পত্তিতে তাঁর জবানবন্দি ভীষণ জরুরি। মুকুল রায় তলবের খবর পেয়েই জানিয়েছেন, আগে যেমনভাবে সহযোগিতা করেছিলেন। এবারও সিবিআইকে তদন্তে সহযোগিতা করবেন। এদিকে মুকুল মুখ খুললে যে কেউটে বেরিয়ে পড়তে পারে তানিয়েও আলোচনা শুরু হয়েছে। আর সেই কেউটের ছোবলে মুকুল রায় নিজেও যে বিপদে পড়বেন না তা হলফ করে বলা যাচ্ছে না।