কসবায় গণধর্ষণকাণ্ড (Kasba Gang Rape Case) নিয়ে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। গত সোমবার কলকাতায় এসেছিল বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। ছিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ বিপ্লব দেব। দুই প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মিনাক্ষী লেখী, সত্যপাল সিং। ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ মনন কুমার মিশ্র। বিজেপির প্রতিনিধি দলের রাজ্যে আসা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তাঁর মতে, বিজেপি কলকাতায় রাজনৈতিক ভ্রমণে বেরিয়েছে। তাঁর এই মন্তব্যের পাল্টা দিয়েছেন মনন কুমার মিশ্র। সেই সঙ্গে এই ঘটনা নিয়ে ব্যক্তিগত মতামতও জানালেন তিনি।

কসবাকাণ্ড নিয়ে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ মননের

বিজেপি সাংসদ বলেন, “আমাদের বিভিন্ন জায়গায় যেতে বাধা দেওয়া হচ্ছিল। কলেজের মধ্যে আমাদের প্রথমে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছিল না। আমরা অনেক চেষ্টা করে ভেতরে ঢুকি এবং কলেজের অধ্যক্ষার সঙ্গে কথাও বলি। তবে নির্যাতিতা বা তাঁর পরিবার, আত্মীয়, প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলার অনুমতি দেয় না। আমরা যখন কলকাতা যাই, তখন এফআইআর-এর একটি কপি আমাদের হাতে আসে, যেখানে অভিযুক্তদের নামের বদলে তাঁদের নামের প্রথম অক্ষর ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু নির্যাতিতার নাম লুকোনো হয়নি। কিন্তু অভিযুক্তদের নাম লুকানোর কারণ কী? আমাদের মনে হচ্ছে, আরজি করের মতোই এই ঘটনাতেও কিছু লুকোনোর চেষ্টা করছে পুলিশ”।

দেখুন মনন কুমার মিশ্রের মন্তব্য

রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন মনন কুমার মিশ্র

 

মনন মিশ্র আরও বলেন, “কলকাতা তথা বাংলায় ধর্ষণের ঘটনা হামেশাই ঘটছে। এই নিয়ে রাজ্য সরকার কোনও কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার বদলে তাঁরা বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। সেই কারণে প্রতি মাসে ১০ থেকে ১৫টি ধর্ষণ বা শ্লীলতাহানির মতো ঘটনা ঘটছে। কুণাল ঘোষের মতো নেতারা যে বলছেন আমরা ঘুরতে গিয়েছিলাম, তাঁরা খতিয়ে দেখতে পারে যে আমরা সময় নষ্ট না করে কোথায় কোথায় গিয়েছি। জনতার সামনে আসল তথ্য তুলে ধরাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য ছিল”।