কলকাতা, ১৩ জুলাই: হেমতাবাদে বিজেপি বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের মৃত্যু নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। আত্মহত্যা নাকি খুন! তা নিয়ে তদন্ত চলছে। এরমধ্যেই ঘটনার প্রতিবাদে উত্তরবঙ্গে ১২ ঘণ্টার অবরোধের ডাক দিয়েছে রাজ্য বিজেপি। বাড়ি থেকে কমবেশি দেড় কিলোমিটার দূরে একটি বন্ধ চায়ের দোকানের সামনে ঝুলন্ত অবস্থায় দেবেন্দ্রনাথ রায়ের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার কলকাতায় প্রতিবাদ দেখান বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা।
বিজেপি বিধায়কের জামার পকেট থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। সুইসাইড নোটে তিন অভিযুক্তের নামেরও উল্লেখ পাওয়া গেছে বলে জানা যাচ্ছে। ঘটনার তদন্তে নেমে রায়গঞ্জ থানার এসপি জানিয়েছেন, "সোমবার সকালে হেমতাবাদের বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। রায়গঞ্জেই তাঁর বাড়ি রয়েছে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশকর্মীরা। মৃতদেহ পর্যবেক্ষণের সময়ই বিধায়কের জামার পকেট থেকে উদ্ধার হয় সুইসাইড নোট, যেখানে তিন ব্যক্তিকে এই মৃত্যুর জন্য দায়ী করা হয়।"
উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়কের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়, সে কথাও টুইটে জানায় পুলিশ। বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে বিন্দোল এলাকায় বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের (Debendra Nath Ray) দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে সোমবার সকালে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। দল, পরিবার ও স্থানীয়দের দাবি খুনের পর বিজেপি বিধায়ককে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। রায়গঞ্জের বিন্দোল পঞ্চায়েত এলাকার বালিয়া গ্রামে দেবেন্দ্রনাথ রায়ের বাড়ি। সেখান থেকে ১ কিলোমিটার দূরে একটি বন্ধ দোকানের বারান্দা থেকে উদ্ধার করা হয় বিজেপি বিধায়কের হাত বাঁধা ঝুলন্ত দেহ। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় পুলিশে। ঘটনাস্থলে আসে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ময়নাতদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারও ওপর দোষারোপ না করার নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ। বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা টুইটে বিষয়টিকে 'অত্যন্ত আশ্চর্যজনক ও শোচনীয়' ঘটনা বলে টুইট করেন। এই রহস্যমৃত্যুর পিছনে মমতা ব্যানার্জি শাসিত রাজ্যের আইন ও শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। "মমতা ব্যানার্জি গুন্ডা রাজ দমনে ব্যর্থ এবং ভবিষ্যতে জনতা এধরণের কার্যকলাপ মেনে নেব না", বলে জানান নাড্ডা।