CPIM: বাংলা থেকে রাজ্য কিংবা জাতীয় স্তরে সিপিআই (এম)-এর আর কোন প্রতিনিধি থাকছে না। দীর্ঘ ৩৪ বছর বাংলায় ক্ষমতায় থেকে রের্কড গড়েছিল সিপিআই (এম)। ১৯৭৭ থেকে ২০১১- জ্য়োতি বসু, (Jyoti Basu) বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য (Buddhadeb Bhattacharjee) রা বাংলার মসনদে বসেছিলেন। একটা সময় বাংলা মানেই ছিল লালগড়। সিপিএমের একাধিপত্য দেখেই বাংলার রাজনৈতিক মহল আধিপত্য ছিল। কিন্তু ২০১১ বিধানসভায় মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের কাছে হারের পর সিপিএম সহ বামফ্রন্টের দলগুলির ভোটে বিপর্যয়ের হার বাড়তে থাকে। ২০১৪ লোকসভা ভোটে ২জন সাংসদ, ২০১৬ বিধানসভায় মাত্র ৭৭টি আসনে জয়ের পর ২০১৮ লোকসভায় বাংলা থেকে প্রতিনিধি শূন্য হয়ে যায় সিপিএমের। দুবছর পর বিধানসভা ভোটে বাংলায় একেবারে মুছে যায় কাস্তে হাতুড়ির দল।
২০১৯ লোকসভা থেকে বাংলায় ভোট মানেই সিপিএম শূন্য
২০১৪ লোকসভায় শুধু শূন্য আসন নয়, ৪২টির মধ্যে ৪১টি আসনে জামানত জব্দ হয়ে যা সিপিএমের নেতৃত্বে লড়া বাম প্রার্থীদের। বাংলায় লোকসভা, বিধানসভা কোনও কিছুতেই প্রতিনিধি নেই সিপিএমের। তবে রাজ্যসভায় বাংলা থেকে সিপিএমের একজন প্রতিনিধি আছে। কলকাতার প্রাক্তন মেয়র তথা বিশিষ্ট আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যকে 2020 সালে রাজ্যসভায় পাঠিয়েছিল সিপিএম। ২০২০ সালের মার্চে রাজ্যসভার সাংসদ মনোনিত হয়েছিল বিকাশ। এবার আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে বিকাশ ভট্টাচার্যের রাজ্যসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে। বাংলায় সিপিএমের কোনও সাংসদ বা বিধায়ক না থাকায় বিকাশকে ফের রাজ্যসভায় পঠানোর ক্ষমতা নেই দলের। তার মানে আর মাস চারেকের মধ্যেই রাজ্য ও দেশীয় স্তরে বাংলা থেকে আর কোনও প্রতিনিধি থাকছে না। ১৯-২০ বছর আগে বাংলায় ২৩৫ জন বিধায়ক, ৩৫জন সাংসদ ছিল বামেদের। সেখান থেকে বাংলা থেকে বিধানসভা, দিল্লিতে সংসদের দুই কক্ষেই পুরো শূন্য হয়ে যাচ্ছে লাল শিবির। আগামী বছর বিধানসভাতেও বাংলা বিধানসভায় সিপিএম খাতা খুলতে পারবে কি না তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে।
বিকাশের জায়গায় বিজেপি প্রার্থী করতে পারে কে
বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের জায়গায় বাংলা থেকে খালি হয়ে যাওয়া আসনে বিজেপি প্রার্থী করতে পারে নেত্রী-অভিনেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়-কে। গত বছর লোকসভা ভোটে হুগলি আসন থেকে তৃণমূলের তারকা প্রার্থী রচনা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের কাছে হেরে গিয়েছিলেন বিজেপির লকেট।