কলকাতা, ১০ জুন: সন্দেশখালিতে(Sandeshkhali) দলীয় কর্মী খুনের ঘটনায় আজ ১২ ঘন্টার বসিরহাট মহকুমায় বনধ পালন করছে বিজেপি(BJP)। আগামী বুধবার এই ঘটনার প্রতিবাদেই ‘লালবাজার অভিযান’ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। রবিবার কলকাতায় দুই দলীয়কর্মীর দেহ দাহ করতে চেয়েছিলেন বিজেপি নেতারা। কিন্তু মাঝপথেই তাঁদের আটকে দেয় পুলিস।
শেষ পর্যন্ত সন্দেশখালিতে দেহ ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হলেও মিনাখাঁয় দাঁড়িয়ে ঘটনার প্রতিবাদে একাধিক কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। পরে সন্ধ্যায় বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিংহ বলেন, ‘আমরা চাই না, দলের নিহত কর্মীদের কোনও রকম অমর্যাদা, সম্মান হোক। তাই সৎকারের জন্য তাঁদের দেহ সন্দেশখালিতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তবে এই সন্ত্রাস ও খুনের প্রতিবাদে আমাদের কর্মসূচি চলবে।’আরও পড়ুন,BJP-TMC Clash:রাজনৈতিক সংঘর্ষে সন্দেশখালিতে মৃত ৪, নিখোঁজ বহু, মমতার প্ররোচনায় হিংসার অভিযোগ মকুল রায়ের
তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, ‘বিজেপিই নির্বাচন পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক সংঘর্ষের পরিবেশ তৈরির ষড়যন্ত্র করছে। আমাদের একাধিক কর্মী খুন হয়েছেন তাদের হাতে। আমরা রাজনৈতিকভাবেই এই ষড়যন্ত্রের মোকাবিলা করব। বাকি যা করার প্রশাসন করবে।’
কলকাতায় এ দিন দুপুরে দু’টি বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়েছিল বিজেপি। মধ্য কলকাতায় দলের রাজ্য দফতর থেকে মিছিল বেরিয়ে তা সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ে পৌঁছতেই পুলিশ বাধা দেয়। সেখানে পুলিশের সঙ্গে বিজেপি সমর্থকদের বেশ কিছুক্ষণ ধস্তাধস্তি হয়। একই ভাবে দক্ষিণ কলকাতার হাজরা মোড়ে বিজেপির বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়ে কিছুক্ষণ ধস্তাধস্তি হয়। বিক্ষোভকারীদের কয়েক জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে সরিয়ে দেয়।