বাগনান, ২১ জানুয়ারি: সাত-সকালে দুষ্কৃতীদের ছোড়া গুলিতে খুন হলেন তৃণমূলের প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি (TMC Leader Shot Dead )। হাওড়ার বাগনানে (Bagnan, Howrah) আজ মঙ্গলবার সকালেই এই ঘটনা ঘটেছে। নিহত ওই ব্যক্তির নাম শেখ আসাদুল রহমান (Sheikh Asadul Rahman)। ঘটনায় রীতিমত আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে তাঁর মোবাইলে একটি ফোন আসে। ফোন আসার পর বাড়ি থেকে সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে যান আসাদুল। এর কিছুক্ষণ পর সকাল সাড়ে ছ'টা নাগাদ তাঁর বাড়িতে খবর পৌঁছয় খুন হয়েছেন আসাদুল। পড়ি-মরি করে পরিবাবের সদস্যেরা (Family Member) ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন রক্তাক্ত বস্থায় গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে আছেন তাঁদের বাড়ির লোক। এই সময়ের খবর অনুযায়ী, সম্ভবত তাঁর মাথায় গুলি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনায় নিহত আসাদুলের নিথর দেহ আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন এলাকাবাসীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। বাসিন্দাদের দাবি, পুলিশ কুকুর (Dog) আনিয়ে দুষ্কৃতীদের ধরতে তল্লাশি চালাতে হবে। তবেই তাঁরা দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশের কাছে পাঠাবেন। এদিকে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য এলাকায় মজুত করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। বাসিন্দাদের বুঝিয়ে সেখান থেকে দেহ তোলে পুলিশ। তারপরে মৃতদেহ ময়না তদন্তের (Post Mortem) জন্য পাঠানো হয়েছে বাগনান থানায়। এর আগে গত সপ্তাহের মঙ্গলবার দিনে-দুপুরে দুষ্কৃতীদের ধারাল অস্ত্রের কোপে খুন হয়েছিলেন নদিয়ার শান্তিপুরের এক তৃণমূল সমর্থক। নিহত যুবকের নাম শান্তনু মাহাত ওরফে গনা (৩২)। নিহত শান্তনু তৃণমূল কর্মী ছিলেন বলে দাবি। তাঁর শ্বশুর প্রফুল্ল মণ্ডলের অভিযোগ, 'দলে পুরপ্রধান (Municipality Chairman) এবং বিধায়কের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের জেরেই খুন হয়ে গেল জামাই (Son In Law)।' এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে ফের খুন হল বাগনানে। আরও পড়ুন: Kolkata: কলকাতায় ১০০ কোটি টাকার মাদক উদ্ধার, পাইকপাড়া থেকে ধৃত ২
কিন্তু কেন গুলি করা হল শেখ আসাদুল রহমানকে? পরিবারের অভিযোগ, এই ঘটনার পিছনে রাজনৈতিক কারণ রয়েছে। তবে, স্পষ্ট করে কারোর বিরুদ্ধে অভিযোগ জনানো হয়নি পরিবারের পক্ষ থেকে। বাগনানের শ্যুটআউটের (Shoot Out) এই ঘটনার রহস্যের কিনারা করতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। তদন্তের জন্য নিহতের মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।