কলকাতা, ১৬ অগাস্ট: গত বৃহস্পতিবার বাড়ি থেকে আটক করার পর আসানসোলের সিবিআই আদালতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে ((Anubrata Mondal) গ্রেপ্তার করে। সেদিন যে মেজাজে কেষ্টকে দেখেছিল সংবাদ মাধ্যম আজ যেন তার পুরোপুরি উল্টো। বরং মেয়ের প্রসঙ্গ উঠতেই কেমন ক্ষেপে গেলেন তিনি। এহেন আচরণের মধ্যে দিয়ে ফের ফুটে উঠল বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতার মুখ। আরও পড়ুন-Hyderabad: স্বাধীনতা দিবসের বক্তব্য রাখতে গিয়ে হৃদরোগের ছোবল, মাটিতে পড়ে মৃত্যু ব্যক্তির (দেখুন ভিডিও)
গত কয়েকটি দিন নিজাম প্যালেস থেকে কমান্ড হাসপাতালে যাতায়াত করেছেন তিনি। যখনই গাড়ি থেকে নেমেছেন তখনই সাংবাদিকের দল তাঁকে ছেঁকে ধরেছে। তবে কোনওবারেই তিনি কোনও প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে নির্বিকার থেকেছেন। কখনও তাঁকে হতাশায় ডুবে যেতে দেখা গেছে। কখনও একেবারে নির্লিপ্ত। তবে এদিন সেই মুষড়ে পড়া ভাব একেবারে উধাও। তার বদলে দেখা গেল আগের অনুব্রতকে।
উল্লেখ্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেদিন কেষ্টর গ্রেপ্তারি নিয়ে সিবিআইয়ের দিকে প্রশ্ন ছুঁড়েছিলেন, তারপর থেকেই স্বমহিমায় ফিরতে দেখা যাচ্ছে বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতিকে। এখন নাকি জেরা পর্বে সেভাবে সিবিআই কর্তাদের তদন্তের কাজে সহযোগিতা করছেন না তিনি। জিজ্ঞাসাবাদ করলেই মুখে কুলুপ এঁটে বসে থাকছেন।
এদিন কমান্ড হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে ফেরার পর তিনি যখন নিজাম প্যালেসে ঢুকছেন। তখন ফের সংবাদ মাধ্যমের কাছ থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে প্রশ্ন ছুটে এসেছে। এই সময় কেষ্টবাবুর পা থেকে জুতোজোড়া কোনওভাবে ফসকে যায়। অনেক চেষ্টাতেও তিনি জুতো বাগে আনতে পারছিলেন না। সেই সময় কানে এল, গরুপাচার কাণ্ডে আপনার মেয়ের ভূমিকা কী? মুহূর্তক্ষণ থামলেন। সংবাদ মাধ্যমের বুম মুচড়ে একহাতে সরিয়ে দিলেন। মুখ থেকে বেরল, “কিচ্ছু বলব না।” এর পরেই সংবাদ মাধ্যমের দিকে কটমট করে জ্বলন্ত দৃষ্টি হেনে প্যালেসে ঢুকে গেলেন অনুব্রত মণ্ডল।