কসবা ল‘ কলেজের পর এবার খবরের শিরোনামে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট কলকাতা অর্থাৎ আইআইএম জোকা (IIM Rape Case)। এথানে এক তরুণীকে কাউন্সিলিংয়ের জন্য বয়েজ হস্টেলে ঢুকিয়ে অচৈতন্য করিয়ে ধর্ষণ করে দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্র। নির্যাতিতা থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করতেই শুরু হয় তদন্ত। আর ঠিক ২৪ ঘন্টার মধ্যেই হস্টেলে ঢুকে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে জানা যাচ্ছে, এক্ষেত্রে ধৃত যুবক ওই কলেজের মধ্যে যথেষ্ট প্রভাবশালী ছিল। ঘটনাটি নিয়ে ফের রাজ্য রাজনীতিতে উঠেছে সমালোচনার ঝড়।
ঘটনার কড়া নিন্দা করেছেন অধীর রঞ্জন চৌধুরি
ঘটনাটি নিয়ে রাজ্যের কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরি বলেন, “বাংলা ধীরে ধীরে ধর্ষণকারীদের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। যে যা পারছে করে যাচ্ছে। আর এর সবথেকে বাজে প্রভাব বাংলার মহিলা সমাজের ওপর পড়ছে। স্কুল, কলেজে নারীরা আর সুরক্ষিত নয়। বাংলার আইন ব্যবস্থা ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। আর সেই সুযোগ নিচ্ছে এই অপরাধীরা। আজ বাংলায় মা-বোনেরা কেউ সুরক্ষিত নয়। রাজ্যে আইন শৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। তাই এই ধরনের ঘটনা ক্রমশ বেড়ে চলেছে”।
দেখুন অধীর রঞ্জন চৌধুরির মন্তব্য
#WATCH | Murshidabad, West Bengal: On the alleged rape case at IIM Calcutta Hostel, Congress leader Adhir Ranjan Chowdhury says, "...The law and order of Bengal is getting weaker day by day, and no strict actions are being taken to improve the law and order of Bengal. Due to the… pic.twitter.com/JLM0YzGgHp
— ANI (@ANI) July 12, 2025
খাবার খাইয়ে অচৈতন্য করে ধর্ষণ
প্রসঙ্গত, পেশায় মনোবিদ ওই তরুণী থানায় জানিয়েছে, হস্টেলে ঢোকার সময় রেকর্ড বুকে সই করতে দেয়নি অভিযুক্ত। রুমে ঢুকিয়ে তাঁকে পিৎজা ও জল খেতে দেওয়া হয়েছিল। সেটা খেয়েই সে অচৈতন্য হয়ে পড়ে। ধর্ষণের মাঝে তাঁর জ্ঞান ফেরে, তখন তাঁকে মারধর করে আবারও ধর্ষণ করে অভিযুক্ত। ঘটনার পর প্রথমে নির্যাতিতা ঠাকুরপুকুর থানায় যায়। সেখান থেকে তাঁকে হরিদেবপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। আসলে আইআইএম জোকা ঠাকুরপুকুর থানার মধ্যে পড়ে না।