গত বৃহস্পতিবার রাতে বিকাশ ভবন (Bikash Bhavan) চত্বরে চাকরিহারা শিক্ষকদের সঙ্গে ধুন্ধুমার কাণ্ড বাধে পুলিশের। একদিকে যেমন বেধড়ক লাঠিচার্জ চলে, তেমন অন্যদিকে ইটবৃষ্টি ও বোতল ছোড়ার মতোও ঘটনা ঘটে। আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে বের করে আনা হয় বিকাশ ভবনে আটকে থাকা কর্মীদের। এই ঘটনার পর থেকেই রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনকে নিয়ে সমালোচনা শুরু করে দিয়েছে বিরোধীরা। কারণ মাসখানেক আগেও কসবাতে চাকরিহারাদের ওপর পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগ তুলেছিল বিরোধীরা। শুক্রবার আবারও একই ঘটনা ঘটায় পুলিশের বিরুদ্ধে উঠছে সমালোচনার ঝড়।
বিকাশ ভবনে অনান্য দফতরের কর্মীরাও কাজ করেন
এদিকে শুক্রবার এই ঘটনা নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করলেন এডিজি আইন শৃঙ্খলা জাভেদ শামিম ও এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে অনেক শিক্ষকের চাকরি চলে গিয়েছে। তাঁরা এই ঘটনার প্রতিবাদে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন করছেন। চাকরি যাওয়ার বেদনা আমরা বুঝি। শিক্ষক, পুলিশ আমরা সকলেই চাকরি করি, ফলে তাঁদের কষ্ট আমরা বুঝি। কিন্তু বিকাশ ভবনে শুধু শিক্ষা দফতর আছে, তা তো নয়। বরং আরও ৫৮টি আলাদা বিভাগের দফতর রয়েছে। সবমিলিয়ে ৫০০ জন কর্মী কাজ করেন। ফলে তাঁদের আটকে রাখা কোনওভাবেই যুক্তিসঙ্গত ছিল না।
আহত হয়েছেন ১৯ জন
জাভেদ শামিম আরও বলেন, গতকাল সকাল থেকেই বিকাশ ভবনের সামনে জমায়েত হচ্ছিল। তাঁরা সমস্ত দরজা বন্ধ করে দেয়। আমরা ৭ ঘন্টা ধরে সংযত ছিল। কিন্তু তাঁদের যেমন শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করার অধিকার রয়েছে, তেমন সরকারী কর্মীদের বাড়ি ফেরারও অধিকার রয়েছে। ফলে তাঁদের সুরক্ষিতভাবে বাড়ি ফেরানোর জন্য যতটুকু বলুপ্রয়োগ করার দরকার আমরা করেছি। এই ঘটনায় একজনের আঘাত গুরুতর, তবে বাকিরা খুব একটা জখম হননি। সবমিলিয়ে ১৯ জনের আহত হওয়ার খবর আসছে।