কলকাতা, ২৮ সেপ্টেম্বর: ২০২১-এর শুরুতে রাজ্য বিজেপি (BJP) আর পুজোর মুখে রাজ্য বিজেপি যেন আলাদা দুটি দ্বীপের দল৷ ৬ মাস আগের রং রূপ, খ্যাতি এখন মিইয়ে যাওয়া মুড়ির চেহারা নিয়েছে৷ প্রতিদিন যেন সেই দায়বদ্ধতা ঝেরে ফেলে কেউ না কেউ দল ত্যাগ করে চলেছেন৷ ২০২১-এর ২ মে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয় বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসতে না বসতেই গেরুয়া শিবিরের বিদায় ঘণ্টা বেজে যায়৷ রায়বাবু তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন করেন৷ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ফিরে আসেন৷ ভোটের আগেভাগে পদ না পেয়ে দল ছেড়ে য়াওয়া সোনালী গুহ ফের দিদির গণগানে মেতে ওঠেন৷ বঙ্গ বিজেপির দীর্ঘদিনের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় যেদিন গেরুয়া ছেড়ে ঘাসফুলে নাম লেখালেন, সেদিন যেন আত্মার বিসর্জন হয়ে গেল৷ আরও পড়ুন-Pakistan: ধর্মীয় নিন্দার দায়ে মৃত্যু দণ্ডাদেশ পেলেন পাকিস্তানি মহিলা
আর রাতারাতি রাজ্য সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দিলীপ ঘোষকে কেন্দ্রের দায়িত্ব নিয়ে যাওয়ায় বঙ্গ বিজেপি যেন “মণি হারা ফণি৷” লকেট চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে নানারকম কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে৷ এর মধ্যেই বিজেপির বিভিন্ন পদ থেকে ইস্তফা দিলেন তারকা নেতা সুমন বন্দ্যোপাধ্যায় (Suman Banerjee)৷ সাম্প্রতিক অতীতে ফুলে ফলে ভরে ওটা বঙ্গ বিজেপির অতীত চেহরাতেই তাকে বরণ করে নিয়েছিলেন সুমন বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ২০১২-তে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে দারুণ খেটেছেন৷ ২০১৬-তে মালদায় ভোটে দাঁড়িয়েও হেরে যান৷ একুশের বোটে টালিগঞ্জ থেকে এক ঝাঁক তারকাকে প্রার্থী করলেও সুমন বন্দ্যোপাধ্যায়কে মনেও করেনি বিজেপি নেতৃত্ব৷
আনন্দবাজার ডিজিটাল সূত্রের খবর, এদিন ইস্তফা দেওয়ার পর সুমন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “২০১২ সালে যখন কেউ বিজেপি করত না, তখন দলে যোগ দিয়েছিলাম। কিন্তু এখন দল বড় হয়েছে, তাই আমাদের মতো মানুষের আর গুরুত্ব নেই। তাই কিছুটা বিরক্তি নিয়েই দলের সব পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছি। আপাতত নিজের কাজ নিয়েই থাকতে চাই। তার পর অন্য কোনও রাজনৈতিক দলে যোগ দেব কিনা, তা নিয়ে ভাবব।”