আবারও ধুন্ধুমাার কাণ্ড সন্দেশখালিতে। নির্বাচনের আবহে একাধিকবার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে উত্তর ২৪ পরগনার এই এলাকা। ভুয়ো ভিডিও বানিয়ে নির্যাতিতাদের প্রতিবাদকে অসম্মান করার অভিযোগে বিজেপির কর্মীরা এদিন চড়াও হয় স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের ওপর। কার্যত তৃণমূলের বিধায়কের সামনেই যুবকর্মীকে ফেলে মারধর করল বিজেপির মহিলা কর্মীরা। অপরদিকে কার্যত অসহায় অবস্থায় গোটা বিষয়টি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখল স্থানীয় পুলিশ এবং বিধায়ক।

জানা যাচ্ছে, এদিন দুপুরে প্রথমে সন্দেশখালি থানায় বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি মহিলা কর্মীরা। সেখান থেকে স্থানিীয় তৃণমূল নেতা নারয়ণ বিশ্বাসের বাড়িতে বিক্ষোভ দেখাতে যায় তাঁরা। সেখানে গিয়ে জানতে পারে নারায়ণের বাড়ির উল্টোদিকের রাস্তায় আরেক তৃণমুল নেতা দিলীপ মল্লিকের বাড়ি, সেখানে নাকি এসেছেন বিধায়ক সুকুমার মাহাতো। সেই শুনে নারায়ণের বাড়ির বেড়া টপকে সেখানে যায় মহিলারা। আর তারপরেই শুরু হয় ধুন্ধুমার কাণ্ড। অভিযোগ, এদিন বিকেলে রাজবাড়ি বাজারে তৃণমূলের সভা হওয়ার কথা ছিল। সেই নিয়ে সুকুমার মাহাতো স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে সাংগঠনিক বৈঠক করছিলেন। সেই সময় ঢুকে পড়ে বিজেপির মহিলা কর্মীরা।

একসঙ্গে এতজনকে দেখে তাতান নামে এক তৃণমূলের যুবকর্মী বাধা দিতে যায়। তাঁকে ফেলে মারধর করা হয়। অভিযোগ বাঁশ দিয়ে পেটানো হয়েছে তাঁকে। ছিঁড়ে দেওয়া হয় জামাকাপড়। অন্যদিকে সুকুমার মাহাতো ফোন করতে যাচ্ছিলেন। অভিযোগ, তাঁর ফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন কয়েকজন মহিলা। পুলিশও প্রতিবাদীদের আটকাতে পারেননি। কার্যত নীরব দর্শক হয়ে দাড়িয়েছিলেন তাঁরা। আর মহিলারা তৃণমূলের স্থানীয় নেতা ও বিধায়কদের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।

এই হামলা প্রসঙ্গে তৃণমূল এবং বিজেপি দুই পক্ষই মতামত প্রকাশ করেছে। বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রের অভিযোগ, আমরা সন্দেশখালি খানা সামনে শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছিলাম। তখন দিলীপ মল্লিক আর তাঁর বাহিনী এসে আমাদের মহিলাদের ওপর নোংরা ভাষায় আক্রমণ করে। এরপর বিজেপির মহিলা কর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে তৃণমূল নেতার বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখায়। অন্যদিকে, তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার মাহাতোর অভিযোগ, আমরা নিজেদের মধ্যে সাংগঠনিক বৈঠক করছিলাম। সেই সময় বিজেপির কর্মীরা এসে আমাদের ওপর হামলা চালায়।