এশিয়ান গেমসের ফাইনালে একেবারে অবিশ্বাস্য বোলিং বাংলার ১৯ বছরের পেসার তিতাস সাধু (Titas Sadhu)-র। সোমবার হাংঝৌ এশিয়াডের ফাইনালে চুঁচুড়ার মেয়ে তিতাস ৪ ওভার বল করে মাত্র ৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিলেন। শ্রীলঙ্কার ইনিংসের প্রথম তিনটি উইকেটই তিতাস নেন। চলতি বছর অনুর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৪ ওভার বল করে ৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছিলেন তিতাস। প্রথমবার বিশ্বকাপ ফাইনালের মঞ্চে কোন বাঙালি ম্যাচের সেরা পুরস্কার জিতে নিয়েছিলেন। তিতাস ছেলেদের সঙ্গে প্র্যাকটিস করেই ক্রিকেট শুরু করেছিলেন।
ছোটদের বিশ্বকাপে চমকপ্রদ পারফরম্যান্স করে সিনিয়র দলে জায়গা করে নিয়েছেন তিতাস। এশিয়ান গেমসেই প্রথমবার তিতাসকে জাতীয় দলে জায়গা দেওয়া হয়। প্রথমবার সিনিয়র জাতীয় দলের জার্সি গায়ে খেলতে নেমে সেমিফাইনালে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ১০ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছিলেন । এরপর ফাইনালে এরকম অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্স। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা তিতাসকে লম্বা রেসের ঘোড়া বলছেন। ঝুলন গোস্বামী যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে দেখা হচ্ছে তাঁকে। স্য়ুইংয়ের সঙ্গে গতির বৈচিত্র তিতাসের বোলিংকে আরও ধারালো করছে বলে অনেকেই মনে করছেন। বোর্ড সচিব জয় শাহ এশিয়ান গেমসে সোনা জয়ের জন্য ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলকে শুভেচ্ছা জানালেন। আর আলাদা করে প্রশংসা করলেন তিতাস সাধুর। আরও পড়ুন- এশিয়াডে ঐতিহাসিক সোনা জয় ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের
দেখুন ছবিতে
Titas Sadhu in the 2023 U-19 T20 World Cup final: 4-0-6-2
Titas Sadhu in the 2023 Asian Games gold medal match: 4-1-6-3https://t.co/BklH1ySsSc#INDvSL#AsianGamespic.twitter.com/bWpS8nLh1s
— ESPNcricinfo (@ESPNcricinfo) September 25, 2023
সোনা জয়ী ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলকে শুভেচ্ছা
🥈 Silver in Commonwealth Games 2022.
🥇 Gold in Asian Games 2022.
🇮🇳 𝗪𝗼𝗺𝗲𝗻 𝗶𝗻 𝗯𝗹𝘂𝗲 𝗰𝗼𝗺𝗽𝗹𝗲𝘁𝗲 𝘁𝗵𝗲 𝗱𝗼𝘂𝗯𝗹𝗲.
👏 India seemed troubled after their first innings, but the exceptional bowling performance by the young talent Titas Sadhu secured the gold.
— Team India at the Asian Games 🇮🇳 (@sportwalkmedia) September 25, 2023
তিতাসের বাবা রঞ্জিত সাধু নিজেও ছিলেন অ্যাথলিট। কাকা-কাকিমাও খেলাধুলোর সঙ্গে যুক্ত। ছোট থেকেই খেলার পরিবেশে বড় হয়েছেন তিতাস। প্রথমে দৌড়তেন। তার পর কিছু দিন সাঁতার। ক্রীড়াবিদের মেয়ে বাইশ গজের প্রতি আলাদা টান অনুভূব করত। তিতাসের ক্রিকেট প্রতিভা প্রথম নজরে পড়ে বাংলার রঞ্জি দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার প্রিয়ঙ্কর মুখোপাধ্যায়ের। তারপর থেকেই গড়ে তোলার কাজ শুরু করেন তিনি। মহিলা ক্রিকেটার হলেও তিতাসকে নিয়মিত ছেলেদের সঙ্গে খেলাতেন কোচ।