বিশ্বকাপে রক্তাক্ত ধোনির এই ছবিটা ভাইরাল হয়েছিল। (Photo Credits: Twitter/ @DazzlingSree27_)

 নয়া দিল্লি, ১৫ জুলাই: বিশ্বকাপ (ICC World Cup 2019) মিটতেই মহেন্দ্র সিং ধোনি (MS Dhoni)-র অবসর নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। যদিও অনেকেই বলছেন ধোনি ২০২০ টি টোয়েন্ট বিশ্বকাপ (2020 T20 World Cup) পর্যন্ত খেলতে চান। তবে অবসর ঘোষণার আগেই ধোনির রাজনীতিতে যোগ দেওয়া নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। ধোনি নাকি অবসর নিয়েই বিজেপি-তে যোগ দিচ্ছেন, এমন দাবি করছেন অনেকেই। কিন্তু মাহি-র এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুর কথা সত্যি হলে, ধোনি অবসর নিয়েই ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে প্রতিকূল জায়গায় পোস্টিংয়ের জন্য আবেদন করবেন।

এবিপি নিউজের খবরে প্রকাশে, ধোনির এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুর দাবি, মাহি দেশসেবার জন্য ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে কিছু মাসের জন্য সিয়াচেনের মত প্রতিকূল জায়গায় কাজ করতে চান। সিয়াচেনে হিমাঙ্কের নিচে তাপমাত্রায় দেশের সীমানারক্ষার কাজ করতে চান ধোনি। খুব তাড়াতাড়ি নাকি এই বিষয়ে সেনাবাহিনীকে চিঠি লিখতে চলেছেন ধোনি। অন্তত মাহি-র ঘনিষ্ঠ বন্ধুর এমনই দাবি। আরও পড়ুন-সাকিব আল হাসানকে বিশ্বকাপের সেরার পুরস্কার না দেওয়ায় তীব্র ক্ষোভ বাংলাদেশে

সদ্য সমাপ্ত বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে গ্লাভসে সেনাবাহিনীকে সম্মান জানাতে গ্লাভসে 'বলিদান ব্যাচ'পরেছিলেন ধোনি। যে চিহ্নটি ভারতীয় আধাসেনার প্রতীক। যা নিয়ে বিতর্কের পর আইসিসি-র অনুরোধের পর ধোনি আর সেটা পরেননি।  প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার বছরে ধোনিকে আধা সামরিক বাহিনীর সাম্মানিক লেফটন্যান্ট কর্নেল পদ প্রদান করা হয়। এরপর মাঝে সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণও নিয়েছিলেন।

সেনাবাহিনীর ট্রেনিংয়ে বারতের বিশ্বকাপজয়ী এই অধিনায়ক প্যারাশ্যুট জাম্পিংয়ে দক্ষতার পরিচয় দিতে দেখা গিয়েছিল। ধোনি নাকি সেসবই বাস্তবে কাজে লাগাতে চান। সিয়াচেনের অসম্ভব ঠান্ডায়, চোখে দূরবীন লাগিয়ে দেশের সীমান্ত রক্ষা করছেন ভারতের বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক, এই ছবিটা মাহি-র বন্ধুর দাবির পর দেখতে শুরু করেছেন অনেকে।

এদিকে, ধোনির অবসর নিয়ে চাঞ্চল্যকর খবর প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে দাবি করা হয়েছে, ধোনি যদি নিজে থেকে অবসর না নেন, তাহলে ভবিষ্যতে তাঁকে বাদ দিয়েই দল গড়া হবে। কারণ ভারতীয় নির্বাচকরা এবার ভবিষ্যতের কথা ভেবে দল গড়বেন। যেখানে ধোনির থেকে ঋষভ পন্থ, সঞ্জু স্যামসনদের পিছনেই ব্যয় করতে চান নির্বাচকরা। ২০১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ধোনি হাফ সেঞ্চুরি করলেও, মোটের ওপর মাহির বিশ্বকাপটা খারাপই যায়। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচে বেশ ধীরগতির ব্যাটিংয়ের জন্য কাঠগড়ায় ওঠেন। সেমিফাইনালেও কিউইদের বিরুদ্ধে অনেকটা ধীরগতির ইনিংস খেলছিলেন।