রঞ্জি ট্রফির সেমিফাইনালে (Ranji Trophy Semifinal) অবিশ্বাস্য সেঞ্চুরি করে চমকে দিলেন মুম্বইয়ের (Mumbai) পেসার-অলরাউন্ডার শার্দুল ঠাকুর (Shardul Thakur)। তামিলনাড়ুর বিরুদ্ধে ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে আজিঙ্কা রাহানে, শ্রেয়স আইয়ারের মত তারকা ব্যাটার থাকা মুম্বইয়ের ৭ উইকেট পড়ে গিয়েছিল মাত্র ১০৭ রানে। অনেকই তখন ভেবেছিলেন প্রথম ইনিংসে তামিলনাডুর ১৪৬ রান করেও লিড নিতে পারে। মুম্বইয়ের পিচে তখন বল লাট্টুর মত ঘুরছে। পৃথ্বী শ (৫) থেকে অধিনায়ক আজিঙ্কা রাহানে (১৯), শ্রেয়স আইয়ার (৩)-এর মত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দাপট দেখানো ব্যাটাররা সবাই আউট হয়ে গিয়েছেন। সেখান থেকে ৯ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে শার্দুল ৮৯ বল খেলে একেবারে অবিশ্বাস্য সেঞ্চুরি করে ফেললেন। দেশের জার্সিতে ব্যাট হাতে এর আগে বেশ কয়েকবার চমকে দিলেও প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে লর্ড শার্দুলের এটি প্রথম সেঞ্চুরি।
শার্দুল-কে দারুণ সঙ্গ দিলেন ১০ নম্বরে নামা ব্যাটার তানুষ কোইতান। ১৩টি বাউন্ডারি, ৬টি ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে শার্দুল ১০৫ বলে ১০৯ রানে আউট হন। দিনের শেষে মুম্বইয়ের প্রথম ইনিংসের স্কোর ৯ উইকেটে ৩৫৩ রান। শার্দুলের অবিশ্বাস্য সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে ২০৭ রানের লিড নিয়ে ফাইনালের পথে এক পা বাড়িয়ে রাখলেন রাহানেরা। তামিলনাড়ুর তারকা স্পিনার সাই কিশোর ৬ উইকেট নিয়েও দলকে ভাল জায়গায় রাখতে পারলেন না।
রঞ্চির অন্য সেমিফাইনালে বিদর্ভের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে লিড নিল মধ্যপ্রদেশ। প্রথম ইনিংসে বিদর্ভ ১৭০ রানে অল আউট হয়ে যায়। ভারতীয় দলে খেলা তারকা পেসার আবেশ খান ৪টি উইকেট নেন। জবাবে মধ্যপ্রদেশ প্রথম ইনিংসে করে ২৫২ রান। মধ্যপ্রদেশের তারকা ব্যাটার ভেঙ্কটেশ আইয়ার শূন্য রানে আউট হন, তবে দুরন্ত সেঞ্চুরি করেন হিমাংশু মন্ত্রী (১২৬)। দ্বিতীয় দিনের শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে অক্ষয় ওয়াদকারের নেতৃত্বে খেলা বিদর্ভের স্কোর ১ উইকেটে ১৩ রান।