Hardik Pandya in tears.

সাত মাস আগেই তীরে এসে তরী ডুবেছিল। আমেদাবাদের আক্ষেপ মিটল বার্বাডোজে। আর ফাইনালে হার নয়। এবার বিশ্বকাপ হাতে তোলার পালা। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৭ রানে হারিয়ে বিশ্বকাপ জিতল ভারত। ফাইনালের শেষ বলটা করার পরই হার্দিক পান্ডিয়া হাউহাউ করে কেঁদে ফেললেন। যে হার্দিককে এবারের আইপিএলে মুম্বইয়ের দর্শকরা একটানা আক্রমণ করে গিয়েছেন, স্ত্রী নাতাশার সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ট্রোল করে গিয়েছেন। ফাইনালে তিন উইকেট নিয়ে হার্দিক দেখিয়ে দিলেন, কেন তিনি ভারতীয় ক্রিকেটে মহামূল্যবান রত্ন। রোহিত শর্মা আনন্দে ছুটে গিয়ে জড়িয়ে ধরলেন বিরাট কোহলি। ১৭ বছর আগে ওয়ানডে বিশ্বকাপ মাথা হেঁট করে দিয়েছিল অধিনায়ক রাহুল দ্রাবিড়, সেই ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জেই কাপ জিতলেন কোচ দ্রাবিড়। দ্রাবিড় কিছুক্ষণ হাত ছুড়ে উচ্ছ্বাস দেখানোর পর বসে পড়লেন। টিম ইন্ডিয়াকে আর কোচিং করাবেন না দ্রাবিড়। কিন্তু আসল জিনিসটা জীবনের শেষ ম্যাচে দিয়ে গেলেন কোচ দ্রাবিড়।

কপিল দেব, মহেন্দ্র সিং ধোনির পর দেশকে বিশ্বকাপ এনে দিয়ে কুলীন আসনে বসলেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ম্যান অফ দি টুর্নামেন্টের ট্রপি হাতে জশপ্রীত বুমার-রা মুখে শিশুসুলভ হাসি। পুরো বিশ্বকাপ জুড়েই প্রতিটি ম্যাচে বুমরার বলে চোখে সর্ষে ফুল দেখলেন বিপক্ষের ব্যাটাররা।

দেখুন 

পুরো বিশ্বকাপে টিম ইন্ডিয়া হারাল যথাক্রমে আয়ারল্যান্ড, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা-কে। এবারের টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জুড়ে শুধু ভারত আর ভারত। টিম ইন্ডিয়ার ধারেকাছে এল না কিছু দল। তবে ফাইনালে শেষের দিকে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে জয়ের সুযোগ এসেছিল। সেসব অবশ্যে কেউ মনে রাখবে না। ভারতের আগের নক আউটের লড়াইগুলোও কেউ মনে রাখেনি। মানুষ মনে রাখে শুধু ফলটা। ফলেই প্রমাণ হার্দিক সেরা, বুমরা শ্রেষ্ঠ, রোহিত সিংহাসনে বসার যোগ্য, মুকুট বিরাটের। তবে এত জনের কথা বলতে গিয়ে ফাইনালের আসল হিরোর কথাই বলা হল না। তিনি হলেন অক্ষর প্যাটেল। দল যখন ৩৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে তখন অক্ষরই ব্যাট হাতে পাল্টা দিয়েছিলেন। শেষ অবধি অক্ষরের ৩১ বলে ৪৭ রানের ইনিংসটাই আসল ফারাক গড়ে দিল। শিবম দুবের ১৬ বলে ২৭ রানের ইনিংসটাও সাহায্য করল ফাইনাল জিততে।