বিশ্বকাপে পঞ্চম সেঞ্চুরিতে রেকর্ড রোহিত শর্মার। (Photo Credits: Getty Images)

লিডস, ৬ জুলাই:  রোহিত শর্মা (Rohit Sharma) -র ইতিহাস। শনিবার বিশ্বকাপে (ICC World Cup 2019)-এ  লিডসে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে তিন অঙ্কের সংখ্যায় পৌঁছে, একটা বিশ্বকাপে পাঁচটা সেঞ্চুরি করে ইতিহাস গড়লেন রোহিত। বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে একটা সংস্করণে পাঁচটা সেঞ্চুরি করে ইতিহাস গড়লেন রোহিত শর্মা। চলতি বিশ্বকাপে লিগ পর্যায়ে ৯টা ম্যাচ খেলে ৫টা সেঞ্চুরি করে নজির গড়লেন রোহিত।

পাশাপাশি বিশ্বকাপ তার প্রথম সেঞ্চুরিটা করলেন লোকেশ রাহুল। দুই ওপেনারের রঙীন সেঞ্চুরিতে শ্রীলঙ্কাকে হেলায় হারিয়ে লিগের খেলা শেষ করল ভারত। ৯টা ম্যাচে ৭টা জয়, ১টা হার, ১টা ড্র-মোট ১৫ পয়েন্টে শেষ হল ভারতের লিগের খেলা। এবার ভারত লিগ পর্যায়ে প্রথম হয় নাকি দ্বিতীয় তা নির্ভর করবে আজ অন্য একটি ম্যাচে চলা অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের ওপর। যে ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে দক্ষিণ আফ্রিকা করেছে ৩২৫ রান। আরও পড়ুন-কোহলিদের নিয়ে এমন কী বললেন, যাতে হুমা কুরেশি-কে ট্রোল করা হচ্ছে!

৩২৬ রান করে ফেললে লিগ পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হবে অস্ট্রেলিয়া। সেক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়া প্রথম সেমিফাইনালে খেলবে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে। আর ভারত খেলবে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে। আর অ্যারন ফিঞ্চরা হেরে গেলে ভারত প্রথম সেমিফাইনালে খেলবে কিউইদের বিরুদ্ধে।

শনিবার লিডসে শ্রীলঙ্কা প্রথমে ব্য়াট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে করে ৭ উইকেটে ২৬৪ রান। ৫৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে শুরুতে বড় বিপাকে পড়ে যায় শ্রীলঙ্কা, সেখান থেকে অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ দুরন্ত সেঞ্চুরি করে দলকে ভদ্রস্থ স্কোরে পৌঁছে দেন। কিন্তু রোহিত-রাহুলের দাপটে ৩৯ বল বাকি থাকতে ৩ উইকেট হারিয়ে অনায়াসেই জিতল ভারত। প্রথম উইকেটে রোহিত-রাহুল যোগ করেন ১৮১ বলে ১৮৯ রান। চারে নেমে ঋষভ পন্থ ৪ রানে আউট হন। বিরাট কোহলি (৪১ বলে ৩৪ অপরাজিত) পাঁচে নামা হার্দিক পান্ডিয়া (৭ অপঃ)-কে নিয়ে ম্যাচ জিতিয়ে ফেরেন।

আজ লিডসে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ভারতের ম্যাচটা দুটো কারণে বিরাট কোহলিদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ১) শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে টিম ইন্ডিয়া লিগে শীর্ষস্থানের লড়াইয়ে থাকে কি না, ২) সেমিফাইনালের আগে বড় জয় পেয়ে মনোবল তুঙ্গে থাকে কি না। দুটো তো হলই সঙ্গে উপড়ি পাওনা রোহিত শর্মার বিশ্বরেকর্ড। দক্ষিণ আফ্রিকা-র বিরুদ্ধে লিগের প্রথম ম্যাচ দিয়ে রোহিতের সেঞ্চুরির অভ্যাস শুরু হয়েছিল, লিগের শেষ ম্যাচ পর্যন্ত তা বজায় থাকল। রোহিতের সেঞ্চুরির পাশাপাশি লোকেশ রাহুলের তিন সংখ্যার ইনিংসটাও সেমিফাইনালের আগে খুব দরকার ছিল। সেটাও হল। চিন্তা বলতে থাকল ভুবনেশ্বর কুমারের বোলিং।