আগামী ২ জুন শুরু হচ্ছে টি-২০ বিশ্বকাপ।অস্ট্রেলিয়ার কাছে একদিনের বিশ্বকাপ ফাইনালের শেষ মুহুর্তে হেরে যাওয়ার ব্যর্থতাকে দূরে ঠেলে নতুন করে টি২০ তে সাফল্যের লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই মার্কিন মুলুকে পৌঁছে গিয়েছে টিম ইন্ডিয়া। তবে এই বিশ্বকাপের পরই হেড কোচ হিসেবে রাহুল দ্রাবিড়ের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তাই হাতে কিছুটা সময় নিয়ে বিসিসিআই নতুন কোচ খোঁজার প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে।
আইপিএলের মাঝেই গত ১৪ মে নতুন কোচের আবেদনপত্র চেয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বিসিসিআই। আবেদন করার জন্য সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়। ওয়েবসাইটে একটি গুগল ফর্মের লিঙ্ক দেয় বিসিসিআই, যেখানে ইচ্ছুক ব্যক্তিরা আবেদন জানাতে পারবেন। আবেদনের শেষ তারিখ ছিল গতকাল (২৭ মে, ২০২৪)। ২৭ তারিখ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবেদন করা যেত। সময়সীমা শেষ হওয়ার পরেই দেখা যায় যে ৩ হাজারেরও বেশি আবেদনপত্র জমা পড়েছে ভারতের হেড কোচ হতে চেয়ে।
আবেদন খতিয়ে দেখা শুরু হতেই বিষম লেগে যায় বিসিসিআই কর্তাদের। বিশ্বের তাবড় তাবড় খেলোয়াড়দের নামযে থাকবে তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কর্তারা নাকাল হয়ে যান অন্য একটি কারণে। কারণ বিখ্যাত ব্যক্তিদের নাম নিয়ে বিস্তর জালি আবেদনপত্র জমা পড়েছে। এই তালিকায় রয়েছে কিংবদন্তি সচিন তেন্ডুলকর, মহেন্দ্র সিং ধোনির মতো ক্রিকেটারদের নাম আবার তেমনই রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর মতো রাজনীতিবিদদের নাম।
ভারতের কোচ হতে চেয়ে জাল আবেদনের ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগেও এমন অভিজ্ঞতার মুখে পড়তে হয়েছে বিসিসিআইকে। ২০২২ সালে ৫০০০ এর বেশি আবেদন পত্র জমা পড়েছিল। যেখানে প্রাক্তন খেলোয়াড়দের পাশাপাশি বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নামও উল্লেখ ছিল আবেদন পত্রে। এই প্রসঙ্গে এক বিসিসিআই কর্তা সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘গতবারও নকল আবেদনপত্র জমা পড়েছিল। এবারও তেমনটাই দেখা গেছে। তবে গুগল ফর্মে আবেদনপত্র চাওয়ার কারণ হল একটি শিটে সমস্ত আবেদনকারীর নাম যাচাই করা যায়।’
বিসিসিআইয়ের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ১ জুলাই থেকে শুরু হবে টিম ইন্ডিয়ার নতুন হেড কোচের মেয়াদ। শেষ হবে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৭ সালে। অর্থাৎ, পাক্কা সাড়ে তিন বছরের দীর্ঘ মেয়াদে কোচ নিয়োগ করতে চলেছে বিসিসিআই। আবেদন জমা পড়ার পরে বাছাই তালিকার প্রার্থীদের মধ্য থেকে সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে নতুন কোচ নিয়োগ করা হবে।