বৃহস্পতিবার (৬ জুন) টেক্সাসের ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে পাকিস্তানকে চমকে দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রমাণ করে যে ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতিতে বাংলাদেশকে এক তরফা হারানো নেহাতই অঘটন ছিল না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে গতকালের ম্যাচে কেউ একা এই ঘটনা ঘটায়নি, বেশ কয়েকজন জয়ের নায়ক হিসেবে এগিয়ে আসে। নস্তুশ কেনজিগে ও সৌরভ নেত্রাভালকরের দুর্দান্ত বোলিংয়ে পাকিস্তানকে ১৫৯/৭ রানে আটকে রাখে আয়োজকরা। মোনাঙ্ক প্যাটেল, অ্যারন জোন্স এবং অ্যান্ড্রিস গাউস ভাল অবদান রাখেন এবং নীতীশ কুমার তাঁর ১৪ রানের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন, যার মধ্যে শেষ বলে একটি চার ছিল যা খেলাটিকে সুপার ওভারে নিয়ে যায়। সুপার ওভার সহ ম্যাচের বিভিন্ন পর্যায়ে পাকিস্তানের শৃঙ্খলার অভাব ছিল, কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহজেই ১৮ রান ডিফেন্ড করে ঐতিহাসিক জয় নিবন্ধন করে এবং গ্রুপ 'এ' টেবিলের শীর্ষে চলে যায়। AUS vs OMN, ICC T20 World Cup 2024: স্টোইনিসের সুবাদে লড়াকু ওমানের বিপক্ষে জয় অস্ট্রেলিয়ার
The American fairytale continues 🇺🇸😍
USA beat Pakistan in one of the biggest results in #T20WorldCup history and are ready to take on India next.
Get your tickets now ➡️ https://t.co/FokQ0Cegga pic.twitter.com/ydqEQ3Onbx
— ICC (@ICC) June 6, 2024
উদ্বোধনী ওভারে মহম্মদ রিজওয়ান ছক্কা হাঁকালেও নেত্রাভালকর তাঁকে আউট করেন স্টিভেন টেলরের দুর্দান্ত ক্যাচের সুবাদে। উসমান খান লং অফে কেনজিগের বলে আউট হলে বাবর আজম অন্য প্রান্তে লড়াই চালিয়ে যান। পাকিস্তানের সমস্যা আরও বাড়িয়ে ফখর আলি খানের প্রথম ওভারে আউট হন। নেত্রাভালকরের তখন তিন ওভারে ৮ রানে ১ উইকেট নিয়ে পাকিস্তান অধিনায়ক ১৪ বলে মাত্র ৪ রানে আটকে রাখতে পারেন। পাওয়ার প্লের পরেও পাকিস্তান প্রথম নয় ওভারে মাত্র ৪৬ রান করে। শাদাব এবং বাবর মিলে চতুর্থ উইকেট জুটি ৭২ রানের জুটি গড়েন। শাদাব ৪০ রান করে কেনজিজের বলে আউট হন এবং অধিনায়ক লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন। নেত্রাভালকর ইফতিখারের উইকেট নেন, শাহিন আফ্রিদি আলি খানের ওভারে সর্বোচ্চ ২৩ রান করেন যা পাকিস্তানকে ১৬০ রানের লক্ষ্য দিতে সহায়তা করে।
রান তাড়া করতে নেমে মোনাঙ্ক প্যাটেল নিয়মিত বাউন্ডারি হাঁকিয়ে আমিরকে পথভ্রষ্ট করে দেন, নাসিম শাহ স্টিভেন টেলরকে আউট করলেও অ্যান্দ্রিস গাউস ভালো ব্যাটিং শুরু করেন এরমধ্যে বাজে ক্যাচ ড্রপ তাঁকে আত্মবিশ্বাসও যোগায়। বাউন্ডারি ছাড়াও, মোনাঙ্ক এবং গাউস সিঙ্গেল এবং ডাবল নিয়ে খেলা সহজ করে রাখে। ১২তম ওভারে ৩৮ বলে অর্ধশতরানের জুটি গড়েন তাঁরা এবং ১৩তম ওভারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ১০০ পেরিয়ে যেতে সহায়তা করে। রউফ গাউসকে ২৬ বলে ৩৫ রানে আউট এবং পরের ওভারে মোনাঙ্ককে আমির আউট করলে খেলা স্লো হয়ে যায়। শেষে ১ বলে যখন ৫ রান প্রয়োজন তখন হারিসের বলে চার মারেন নীতীশ এবং খেলা সুপার ওভারে গড়ায়।
অ্যারন জোন্স এবং হরমিত সিং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে সুপার ওভারে ব্যাট করতে আসেন, মহম্মদ আমিরের সেই ওভারে বেশ কয়েকটি ওয়াইড বোলিংয়ে ব্যাটসম্যানরা ১৮ রান করে। সেই রান তাড়া করতে নামেন ইফতিখার আহমেদ এবং শাদাব, ভালো চেষ্টা চালালেও নেত্রাভালকর ১ উইকেটে ১৩ রানে পাকিস্তানকে আটকে দলকে বিখ্যাত জয় উপহার দেন।