আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় আসরে সামনে এসেছে সর্বকালের সেরা খেলা, বোলারদের দুর্দান্ত বোলিং এবং ব্যাটসম্যানদের দুরন্ত ব্যাটিং। ৭ জুন থেকে ওভালে অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের মধ্যকার ফাইনাল খেলা বাকি এখনও। যেখানে প্রথম আসরে মাত্র ছয় ব্যাটসম্যান চার অঙ্কের ঘরে পৌঁছেছিলেন, সেখানে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২১-২৩ মরসুমে নয়জন ব্যাটসম্যান এক হাজারের বেশি রান সংগ্রহ করেছেন। ২০১৯-২১ মরসুমে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী ব্যাটসম্যানদের তালিকায় ছিলেন মার্নাস লাবুশানে, জো রুট। এবার সেই তালিকায় যোগ দিয়েছেন পাকিস্তান তারকা ও একজোড়া অজি প্রতিদ্বন্দ্বী।
জো রুট (ইংল্যান্ড) - ১৯১৫ রান
টানা দ্বিতীয় বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চক্রে রান সংগ্রহের দিক থেকে শীর্ষ পাঁচ ব্যাটসম্যানের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন রুট। বেন স্টোকসের নেতৃত্বে প্রথম চার ম্যাচে রুট তিনটি সেঞ্চুরি (নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দুটি এবং ভারতের বিরুদ্ধে একটি) এবং একটি হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন। আর এই তালিকায় পরের অবস্থানে থাকা অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার যদি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে দু'টি ইনিংস ভালো না খেলতে পারেন, তাহলে ২২ টেস্টে ১৯১৫ রান নিয়ে রুটের শীর্ষে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
উসমান খোয়াজা (অস্ট্রেলিয়া)- ১৬০৮ রান
টেস্ট ক্রিকেটে খোয়াজার প্রত্যাবর্তন সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে অনুপ্রেরণাদায়ক। টেবিলের শীর্ষে থাকা অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম স্তম্ভ তিনি। সিডনিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জোড়া সেঞ্চুরি ছিল তাঁর স্বপ্নের প্রত্যাবর্তন। খোয়াজা দারুণ ফর্মে পাকিস্তানে দুই সেঞ্চুরি এবং অর্ধ-শতক করেন। বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে চ্যালেঞ্জিং ট্র্যাকে দুটি অর্ধ-শতরান ও একটি শতরান করেন।
বাবর আজম (পাকিস্তান)- ১৫২৭ রান
পাকিস্তানের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ সফর খারাপ হলেও বাবর তার দলের জন্য উজ্জ্বলভাবে জ্বলে ওঠে এবং আবারও বিশ্বকে দেখিয়ে দেন যে কেন তিনি এই চক্রে ১৪ টি টেস্টে সেরা পাঁচ ব্যাটসম্যানের মধ্যে রয়েছেন। প্রথম পাঁচ টেস্টে মাত্র তিনটি অর্ধ-শতক করেছিলেন। করাচি ট্র্যাকে চতুর্থ ইনিংসে সপ্তম-সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর ১৯৬ করেছিলেন। পরের ছয় টেস্টে সাতটি অর্ধ-শতক ও দুটি শতরানের ইনিংস খেলেন।
মার্নাস লাবুশানে (অস্ট্রেলিয়া)- ১৫০৯ রান
লাবুশেন, জো রুটের সঙ্গে দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান যিনি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের গত আসর থেকে সেরা পাঁচ রান সংগ্রহকারীর তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন। উদ্যমী অস্ট্রেলিয়ান অ্যাশেজে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হিসেবে অ্যাডিলেডে একটি সেঞ্চুরির পাশাপাশি দুটি অর্ধশতক করেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট ম্যাচে ডাবল সেঞ্চুরি এবং সেঞ্চুরির রেকর্ড করে টেস্ট ক্রিকেটে অষ্টম খেলোয়াড় হিসেবে মাইলফলক স্পর্শ করেন।
জনি বেয়ারস্টো (ইংল্যান্ড)- ১২৮৫ রান
বেয়ারস্টোর ১৫ ম্যাচের অভিযানে ছিল সমস্যাপূর্ণ। মিডল-অর্ডার ব্যাটসম্যানকে টেস্ট দল থেকে বাদ দেওয়ার পরে তিনি ঝড়ো প্রত্যাবর্তন করেছিলেন। ভারতের বিপক্ষে ৫০-এর বেশী রানের পর অ্যাশেজের প্রথম তিন ম্যাচ থেকে বাদ পড়েন বেয়ারস্টো। এরপর সিডনিতে সিরিজের শেষ টেস্টে ১১৩ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন। বেয়ারস্টো সেখান থেকে আরও পাঁচটি সেঞ্চুরি করেছিলেন, যেখানে তিনি নিউজিল্যান্ড এবং ভারতের বিরুদ্ধে চারটি সেঞ্চুরি এবং একটি অর্ধশতক করেছিলেন।