ব্যাটসম্যানদের খারাপ ফর্মই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হতাশাজনক পারফরম্যান্সের প্রধান কারণ বলে মনে করেন সহ-অধিনায়ক তাসকিন আহমেদ (Taskin Ahmed)। বাংলাদেশের ৪৭ দিনের আমেরিকা সফরে ব্যাটিং ছাড়া প্রায় সবকিছুই পরিকল্পনা অনুযায়ী হয়েছে। টুর্নামেন্ট জুড়ে ব্যাটসম্যানদের জন্য কঠিন পরিবেশ থাকলেও সুপার এইটের দলগুলির মধ্যে বাংলাদেশের ব্যাটিং ইউনিটের সম্মিলিত গড় ছিল সর্বনিম্ন। লিটন দাস নিজের পজিশন থেকে একমাত্র ফিফটি ছাড়া বাংলাদেশের শীর্ষ তিন ব্যাটসম্যান তাদের কোনো ইনিংসেই শুরু করতে পারেননি। ১২৮.৫৭ গড়ে তৌহিদ হৃদয়ের ১৫৩ রান ছিল তাদের সেরা ব্যাটিং পারফরম্যান্স কিন্তু সাকিব (১০৬.৭৩ স্ট্রাইক রেটে ১১১ রান) ও মাহমুদউল্লাহ (৯৪.০৫ স্ট্রাইক রেটে ৯৫ রান) তাকে মিডল অর্ডারে পর্যাপ্ত সাপোর্ট দিতে পারেননি। শুক্রবার সকালে বাংলাদেশ দল আসার পর বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের তাসকিন বলেন, 'সিনিয়রদের অফ ফর্ম দলে প্রভাব ফেললেও মাঠের বাইরে নয়।' Bangladesh Cricket: পিছিয়ে গেল আফগানদের বিপক্ষে সিরিজ, লিগেই উৎসাহী বাংলাদেশ দল
তিনি আরও বলেন, 'তারা দারুণ টিম ম্যান। আমরা ৪৭ দিন দল হিসেবে ছিলাম। মাঠের বাইরে সবকিছু ঠিকঠাকই ছিল। গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়রা ফর্মে না থাকলে একটা দলের সমস্যা হবে এটাই স্বাভাবিক। আমি আশাবাদী যে আমরা এটি থেকে পুনরুদ্ধার করতে পারি এবং শীঘ্রই আরও ভাল খেলতে পারি।' তাসকিন বলেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজ পৌঁছে ব্যাটসম্যানরা কেবল ভাল পিচ পায় তবে তারপরেও তিনি বলেন যে তিনি তার আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে বাংলাদেশের এত দীর্ঘ ব্যাটিং পতন দেখেননি। তিনি বলেন, 'আপনি যখন ব্যাটিংয়ের কথা বলেন, পরিসংখ্যানের দিকে তাকান, আমার মনে হয় এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিটি দলের ব্যাটিং বিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বোলাররা অনেক সাহায্য পেয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজে আমরা ভালো (ব্যাটিংয়ের) উইকেট পেয়েছি। বাংলাদেশের হয়ে দশ বছরের খেলায় ব্যাটসম্যানদের এত খারাপ সময় দেখিনি। আশা করছি দ্রুত কেটে যাবে।' তাসকিন বলেন, আফগানিস্তানের বিপক্ষে শেষ ম্যাচটি নিয়ে তারা হতাশ হয়ে পড়েছিল, বিশেষ করে যখন বাংলাদেশকে সেমিফাইনালে যাওয়ার জন্য ১২.১ ওভারে তাদের লক্ষ্য তাড়া করতে হয়েছিল কিন্তু কাজটি করতে পারেনি।