ক্রিকেটের অন্যতম মহাতারকা এমএস ধোনি এমন একজন মানুষ যাঁকে সম্মান করে গোটা ক্রিকেট বিশ্ব। একটু দেরিতে ভারতের দলে জায়গা করলেও ধোনি এমন ইতিহাস গড়ে গিয়েছেন, যা আজও ক্রিকেট ভক্তদের মনের মধ্যে গেঁথে রয়েছে। রাঁচীতে জন্ম নেওয়া এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যানের অনেক গল্প শোনা গেলেও, সাম্প্রতিক প্রাক্তন পেসার এস শ্রীসন্থ কেরলে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের কিছু অজানা ঘটনা শেয়ার করেছেন। সমর্থকরা যখন সচিন, সচিন স্লোগান দিচ্ছিলেন, তখন ধোনি জানতেন, তাঁর এখনই সময় দলে নিজের জায়গা পাকা করার। Sportskeeda-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শ্রীসন্থ বলেন, 'কেরলে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের আগে জন রাইট (ভারতের হেড কোচ) আমাকে নেটে বল করার জন্য ডেকেছিলেন। কোচি ম্যাচটি আয়োজন করেছিল। ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচটি ছিল হাউসফুল। সবাই 'ভারত, ভারত, সচিন, সচিন' স্লোগান দিচ্ছিল।' Sreesanth on MS Dhoni: 'নিজের ব্যাটিং পজিশনকে বিসর্জন দেননি', ওয়ানডেতে ধোনির ব্যাটিং নিয়ে শ্রীসন্থ
তিনি আরও বলেন, 'ধোনি ভাই এসে আমাদের (সহকারী খেলোয়াড়দের) সঙ্গে কথা বলেন। এই গল্পটা কোথাও শেয়ার করিনি। আমরা যখন দাঁড়িয়েছিলাম, তখন ধোনি ভাই বলেন আমি নিজেকে প্রকাশ করতে চাই। আমি নিজেকে প্রকাশ করার মতো সুযোগ পাচ্ছি না।' সেই সময় ধোনি যেমন নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করতে আগ্রহী ছিলেন, তেমনই ভবিষ্যতেও ভারতের প্রতিনিধিত্ব করার ব্যাপারে যথেষ্ট আগ্রহ দেখান শ্রীসন্থ। সেই ঘটনা সম্পর্কে তিনি বলেন, 'কেরল থেকে আমার সঙ্গে আরও একজন প্লেয়ার ছিল। ধোনি আমাদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। এমনকি আমরা তাঁকে মজা করে বলেছিলাম, 'ধোনি ভাই, আমরাও ১-২ বছরের মধ্যে দলে আসব'। তখন ধোনি হেসে বলেন, "হ্যাঁ, নিশ্চিত। কেন না। শুধু কঠোর পরিশ্রম করে যাও"
ডিনার পার্টিতে যখন তাঁরা হালকা মেজাজে তখন তিনি ধোনিকে বলেন, 'তুমি চিন্তা কোরো না। আমার মনে হয় তুমি শীঘ্রই খেলবে এবং ভাল করবে। "বেঞ্চে বসে ক্রিকেটারদের উদ্বুদ্ধ করার অভ্যাস আমার আছে। আপনি বিশ্বাস করবেন না, পরের ম্যাচে তিনি শতরান করেন। দলীপ ট্রফির ফাইনালে তিনি সুযোগ পান এবং শতরান করেন। ভারত 'এ' দলের হয়ে শতরান করে ধোনি এমন এক দৌড়ে এলেন, যা তাঁকে সিনিয়র ভারতীয় দলের কাছে চিরতরে অপ্রতিরোধ্য করে তুলল। এরপর ভারত 'এ' দলে সুযোগ পান, আবার শতরান করেন, তারপর আবার শতরান করেন। তাই ২০০৩-০৪ সালে তাঁর বিরুদ্ধে দলীপ ট্রফি খেলা থেকে শুরু করে তাঁর সঙ্গে দু'টি বিশ্বকাপ জেতা। অবিশ্বাস্য যাত্রা। তাই বলা হয়, আশা করা উচিত নয়, বিশ্বাস করা উচিত।"