সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ৬ রানে বধ করে স্বমহিমায় ফিরল রয়াল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। ব্যাটিং লাইন ব্যর্থ হলেও বোলাররা জয় এনেদিল অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে। আর একাজে অগ্রণী ভূমিকা পালন করলেন বাংলার শাহবাজ আহমেদ (Shahbaz Ahmed)। তাঁর হাত ধরেই সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ৬ রানে হারিয়ে জয় ছিনিয়ে নিল রয়াল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। নাইটদের বিরুদ্ধে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ডুবিয়েছিলেন বোলাররা। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের বিরুদ্ধে মহম্মদ নবি ও সন্দীপ শর্মার জায়গায় জেসন হোল্ডার ও শাহবাজ নাদিম। ডেভিড ওয়ার্নারকে হতাশ করেননি হোল্ডার। আগের ম্যাচের ব্যর্থতা কাটিয়ে এদিন দারুণ বোলিং করেন ভুবনেশ্বর কুমারও। তাঁর হাত ধরেই প্রথম ব্রেক থ্রু পায় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। তুলে নেন পাড়িক্কলকে (১১)। আরও পড়ুন-COVID-19 Positive Yogi Adityanath: করোনা আক্রান্ত যোগী আদিত্যনাথ, রয়েছেন আইসোলেশনে
বল হাতে অবশ্য জ্বলে উঠলেন শাহবাজ। ১৭তম ওভারে তুলে নিলেন তিন উইকেট। তাঁর শিকারের ঝুলিতে জনি বেয়ারস্টো, মণীশ পাণ্ডে ও আব্দুল সামাদ। আরসিবির ১৪৯/৮ তাড়া করতে নেমে ৩৭ বলে ৫৪ রান করেন ওয়ার্নার। কিন্তু অধিনায়ক ছাড়া আর কেউই রান পেলেন না। ১৪৩/৯ স্কোরে আটকে গেল হায়দরাবাদ।
এদিন ব্যাটিংয়ে বদল ঘটিয়েছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। বিরাট কোহলির এই রদবদল কোনও কাজে আসেনি। কোহলি ফিরে গেলেও বড় রানের স্বপ্ন দেখেছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স। কারণ তখনও ক্রিজে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, এডি ডিভিলিয়ার্সের মতো ব্যাটসম্যানরা। ডাগ আউটে ওয়াশিংটন সুন্দর, ড্যানিয়েল ক্রিশ্চিয়ানের মতো বিগ হিটাররা। তবে রশিদ খানরা সেই সুযোগ দেননি। বিরাট কোহলি ইনিংস ওপেন করেন। ব্যাট হাতে আরসিবি অধিনায়কের অবদান ২৯ বলে ৩৩ রান। নির্ধারিত ২০ ওভারের শেষে আরসিবি তোলে ১৪৯/৮। ব্য়াটিং নিয়ে অবশ্য চিন্তা থেকে যাবে বিরাটের। তিনি ও ম্যাক্সওয়েল ছাড়া আর কোনও ব্যাটসম্যানই রান পাননি। করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে মাঠে ফিরে দেবদত্ত পাড়িক্কল ১৩ বলে করলেন ১১ রান। এ বি ডিভিলিয়ার্সও রান পাননি। ৫ বলে ১ রান করে ফেরেন তিনি।