আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেন পাকিস্তানের ক্রিকেটার ইমাদ ওয়াসিম (Imad Wasim)। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট দিয়ে অবসরের ঘোষণা করেন ইমাদ। তিনি পাকিস্তানের হয়ে ৫৫টি ওয়ানডে ও ৬৬টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন বাঁহাতি স্পিনার ও লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যান হিসেবে। চলতি বছরের এপ্রিলে রাওয়ালপিন্ডিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বশেষ টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি। ইমাদ লিখেছেন, 'সাম্প্রতিক দিনে আমি আমার আন্তর্জাতিক কেরিয়ার নিয়ে অনেক চিন্তাভাবনা করছি এবং আমি এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করার জন্য এখন আমার জন্য সঠিক সময়। আমি পিসিবিকে ধন্যবাদ জানাতে চাই বছরের পর বছর ধরে সমর্থন দেওয়ার জন্য, পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করা সত্যিই সম্মানের। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে আমার ১২১টি ম্যাচের প্রত্যেকটিই ছিল স্বপ্নের মতো।' Imam-Ul-Haq Wedding: ইমামের নিকাহে কাওয়ালিতে মত্ত্ব বাবর-সরফরাজরা, দেখুন ভাইরাল ভিডিও
— Imad Wasim (@simadwasim) November 24, 2023
তিনি আরও যোগ করেন, 'নতুন কোচ ও নেতৃত্ব নিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেটের জন্য এটা একটা রোমাঞ্চকর সময়। আমি প্রত্যেকের সাফল্য কামনা করি এবং দলের সাফল্য দেখার জন্য মুখিয়ে আছি। পাকিস্তান সমর্থকদের ধন্যবাদ, যারা সবসময় আমাকে এত আবেগের সঙ্গে সমর্থন করেছেন। আমার পরিবার ও বন্ধুদের ধন্যবাদ, যারা আমাকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে অর্জনে সহায়তা করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। আমি এখন আন্তর্জাতিক মঞ্চ থেকে দূরে আমার খেলার কেরিয়ারের পরবর্তী পর্যায়ে মনোযোগী হওয়ার জন্য মুখিয়ে আছি।'
২০০৬ সালে পাকিস্তানের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য ছিলেন ইমাদ। তবে লাহোরে জিম্বাবয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের অভিষেকের জন্য তাকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। ২০১৬ সালের টি-২০ বিশ্বকাপে তিনি পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। ২০১৯ সালে দুবাইয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুই ওয়ানডেতে পাকিস্তানের অধিনায়কত্ব করেন, যখন নিয়মিত অধিনায়ক শোয়েব মালিক (Shoaib Malik) চোট নিয়ে বাইরে ছিলেন।
সবমিলিয়ে ওয়ানডেতে ৪৪টি উইকেট এবং ৯৮৬ রান করেন ইমাদ। এছাড়া টি-টোয়েন্টিতে ৬৫ উইকেট ও ৪৮৬ রান করেছেন তিনি। বল হাতে তার সেরা পারফরমেন্স, ঘটনাচক্রে উভয় ফরম্যাটে একই রকম (১৪ রানে ৫ উইকেট)। ইমাদ বর্তমানে পিএসএলের জন্য করাচি কিংসের দলে রয়েছেন এবং সম্প্রতি হান্ড্রেড, সিপিএল এবং এলপিএলেও খেলেছেন। ইংলিশ কাউন্টি সার্কিটেও নিয়মিত খেলেন তিনি। আসলে ওয়েলসের সোয়ানসিতে (Swansea) জন্মের কারণে প্রথমদিকের ক্রিকেট তিনি খেলেছেন ইংল্যান্ডেই।