Dambulla Thunders Owners (Photo Credit: @sm_wajith/ X)

বুধবার কলম্বোয় দলের মালিক তামিম রহমানকে (Tamim Rahman) গ্রেপ্তারের পর অংশগ্রহণকারী পাঁচ দলের অন্যতম ডাম্বুলা থান্ডার্সের (Dambulla Thunders) সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছে লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগ (LPL)। ২০১৯ সালের 'প্রিভেনশন অফ অফেন্সেস রিলেটেড টু স্পোর্টস অ্যাক্ট'- এর অধীনে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ESPNcricinfo-এর খবর অনুসারে শ্রীলঙ্কার পুলিশ জানিয়েছে, বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক তামিমকে কলম্বোর একটি ফ্লাইটে ওঠার আগে গ্রেপ্তার করা হয়। যে আইনের অধীনে রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সেটি আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিটে সঙ্গে আংশিকভাবে কাজ করছিল। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট এক বিবৃতিতে বলেছে, যদিও রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগের সুনির্দিষ্ট বিষয়গুলি অস্পষ্ট, তবে লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে সততা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর মূল লক্ষ্য হল লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগের মূল্যবোধ এবং খ্যাতি বজায় রাখা এবং নিশ্চিত করা যে সমস্ত অংশগ্রহণকারীরা খেলার মাঠে সব নিয়ম মেনে চলে। Most Expensive Player in LPL: লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় মাথিশা পাথিরানা

আপাতত এর মানে হল টুর্নামেন্টের থান্ডার্স এখন মালিক ছাড়া দল। এই বছর নতুন মালিকানায় শ্রীলঙ্কা ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের দুটি নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজির মধ্যে একটি ছিল ডাম্বুলা থান্ডার্স, জানা গিয়েছে থান্ডার্স ইম্পেরিয়াল স্পোর্টস গ্রুপের মালিকানাধীন যেটি রহমানের প্রতিষ্ঠিত। অন্য দলটি গল মার্ভেলস (Galle Marvels), মালিকানা পরিবর্তনের পর গলের ফ্র্যাঞ্চাইজি এখন গ্ল্যাডিয়েটর থেকে মার্ভেলস হয়ে গেছে। ঠিক আগের দিন অনুষ্ঠিত এলপিএল ২০২৪ নিলামে ডাম্বুলা আউরা থেকে ডাম্বুলা থান্ডার্স হওয়া দল অনেক খেলোয়াড়কে ধরে রাখে যার মধ্যে আফগানিস্তানের করিম জানাত এবং হজরতুল্লাহ জাজাই উল্লেখযোগ্য। এছাড়া ফ্র্যাঞ্চাইজিটিতে মুস্তাফিজুর রহমান, ইব্রাহিম জাদরান এবং ইফতিখার আহমেদের মতো বিশিষ্ট বিদেশী ক্রিকেটারদের পাশাপাশি শ্রীলঙ্কার আন্তর্জাতিক দিলশান মাদুশঙ্কা, নুওয়ান থুশারা, আকিলা ধনাঞ্জয়া, দানুশকা গুনাতিলাকা, নুয়ান প্রদীপ রয়েছেন।

ফ্র্যাঞ্চাইজি এবং লিগের কী হবে তা এখন অস্পষ্ট। এখন ডাম্বুলা দলকে খেলার জন্য নতুন মালিকানার প্রয়োজন হবে, ২০২০ সালে লিগ শুরু হওয়ার পর থেকে এই দলের মালিকানায় তিনটি পরিবর্তন হয়েছে। ডাম্বুলার দলটি ডাম্বুলা আউরা নামে গত বছরের এলপিএলে দ্বিতীয় হয়, কিন্তু সেই দলের মালিকদেরও আর্থিক জালিয়াতির অভিযোগের সম্মুখীন হতে হয়। উল্লেখ্য, শ্রীলঙ্কা প্রথম দক্ষিণ এশীয় দেশ যারা ম্যাচ ফিক্সিং সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি অপরাধকে অপরাধী হিসেবে গণ্য করেছে। ২০১৯ সালে নভেম্বরে সংসদে খেলাধুলা সংক্রান্ত অপরাধ প্রতিরোধের বিলের তিনটি পাঠ পাস করে এরপর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।