আইপিএলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের (Mumbai Indians) কাছে ১০ রানে হারল কেকেআর (Kolkata Knight Riders)। এনিয়ে ২২টি ম্যাচে মুম্বাইয়ের কাছে হারল কলকাতা শিবির। মুম্বাইয়ের ১৫২ তাড়া করতে নেমে জেতা ম্যাচ হেরে বসে ইয়ন মর্গানরা। একটা সময় কেকেআরের ম্যাচ জিততে দরকার ছিল ৩১ রান। হাতে ছিল ৬ উইকেট। পরের ৩০ বলে কেকেআর তুলল ২০ রান। যদিও ৩টি উইকেটের বিনিময়ে। ৭ উইকেটে ১৪২ স্কোরে আটকে যায় নাইট শিবির।
টস জিতে ইয়ন মর্গ্যানের ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। ওপেনিং জুটি রোহিত ও কুইন্টন ডি কক শুরুতেই ধাক্কা খায়। বরুণ চক্রবর্তীর বলে কক মাত্র ২ রান করে ফিরে যান। ১০ রানেই প্রথম উইকেট হারায় মুম্বাই। এরপর তিনে নামেন সূর্যকুমার যাদব। ৩৬ বলে ৫৬ রান এল তাঁর ব্যাট থেকে। রোহিতের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলের জন্য ৭৬ রান যোগ করেন তিনি। সূর্যকুমারের ইনিংসে ছিল ৭টি চার ও ২টি ছয়। শাকিব আল হাসানের বলে ক্যাচ আউট হন তিনি। সূর্যকুমার ফিরতেই ইশান কিষাণ আসেন। যদিও মাত্র এক রানেই তাঁর ইনিংস থামিয়ে দেন প্যাট কামিন্স। এরপর রোহিত শর্মাও ফিরে যান ৪২ রানে। এরপর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে মুম্বাই। রোহিতের পর ফিরে যান হার্দিক পান্ডিয়া ও কায়রন পোলার্ড। হার্দিক করেন ১৫ রান, পোলার্ডের ব্যাট থেকে এল মাত্র ৫ রান। ক্রুনাল পান্ডিয়াও করেন ১৫। মুম্বাই শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে তোলে ১৫২।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা দারুণ করেছিলেন কলকাতার দুই ওপেনার নিতীশ রানা ও শুভমন গিল। ওপেনিং জুটিতে ৭২ রান তুলে ফেলেন তাঁরা। গিল ২৪ বলে ৩৩ রানের ইনিংস খেলে ফিরে যান। রাহুল চাহারের বলে পোলার্ডের হাতে ক্যাচ তুলে দেন। গিল আউট হওয়ার পরেই নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে যায় কেকেআর। পরপর রাহুল ত্রিপাঠী (৫) ও ক্যাপ্টেন মর্গান (৭) আউট হয়ে যান। এরপর ৫৭ রানে আউট হন রানা। অলরাউন্ডার শাকিবকেও ফিরতে হয় ৯ রানে। কেকেআরের হয়ে জয়ের এনে দেওয়ার দায়িত্বটা ছিল দীনেশ কার্তিক ও আন্দ্রে রাসেলের হাতে। কিন্তু শেষ ৬ বলে ১৫ রানের চাপটা হয়তো একটু বেশিই হয়ে যায়।
শেষ ওভারে পেসার ট্রেন্ট বোল্টকে পাঠান রোহিত। প্রথম বলে এক রান দিলেন। দ্বিতীয় বলেও দিলেন মাত্র এক রান। এর মধ্যে তৃতীয় বলে তাঁকে ক্যাচ দিয়ে বসেন রাসেল। ১৪০ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে নাইটদের ডাগ আউট তখন রীতিমতো কাঁপছে। চতুর্থ বলে আবারও আউট। এ বার বোল্ড হলেন প্যাট কামিন্স। শেষ ২ বলে ২ রানের বেশি তুলতে পারেননি হরভজন। ২০ ওভারে কলাকতা ৭ উইকেটে ১৪২ রানে আটকে যায়। কার্তিক ১১ বলে ৮ রানে অপরাজিত থাকেন।