India Wins: বুমরা-সাইনি ম্যাজিকে ৫-০ রানে নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইট ওয়াশ করল ভারত
বুমরা-সাইনি ম্যাজিক। ৫-০ রানে নিউজিল্যান্ডকে (New Zealand) হোয়াইট ওয়াশ করল ভারত (India)। সিরিজের পঞ্চম টি-টোয়েন্টিতে প্রথমে ব্যাট করে ভারত তিন উইকেট হারিয়ে তুলেছিল ১৬৩ রান। ফলে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৫-০ হোয়াইট ওয়াশের লজ্জা এড়াতে নিউজিল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ১৬৪ রান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নয় উইকেটে ১৫৬ তুলল তারা। ভারত জিতল সাত রানে। একই সঙ্গে বিশ্বের প্রথম দল হিসেবে এই ফরম্যাটে কোনও সিরিজ জিতল বিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশের (White Wash) রেকর্ড গড়ল নীল জার্সিধারীরা।
নিউজিল্যান্ড, ২ ফেব্রুয়ারি: বুমরা-সাইনি ম্যাজিক। ৫-০ রানে নিউজিল্যান্ডকে (New Zealand) হোয়াইট ওয়াশ করল ভারত (India)। সিরিজের পঞ্চম টি-টোয়েন্টিতে প্রথমে ব্যাট করে ভারত তিন উইকেট হারিয়ে তুলেছিল ১৬৩ রান। ফলে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৫-০ হোয়াইট ওয়াশের লজ্জা এড়াতে নিউজিল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ১৬৪ রান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নয় উইকেটে ১৫৬ তুলল তারা। ভারত জিতল সাত রানে। একই সঙ্গে বিশ্বের প্রথম দল হিসেবে এই ফরম্যাটে কোনও সিরিজ জিতল বিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশের (White Wash) রেকর্ড গড়ল নীল জার্সিধারীরা।
১২ ওভারে তিন উইকেটে ১১৩ ছিল স্কোর। হাতে সাত উইকেট নিয়ে ৪৮ বলে করতে হত ৫১ রান। ক্রিজে ছিলেন দুই সেট ব্যাটসম্যান টিম সেইফার্ট ও রস টেলর। কিন্তু সেখান থেকেই ক্রমশ পিছিয়ে পড়ল তারা। আর ভারতীয় দল দেখাল কীভাবে প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও মরিয়া লড়াই চালানো যায়। শেষ তিন টি-টোয়েন্টিতেই যা করে এসেছে টিম ইন্ডিয়া (Team India)। জয় ছিনিয়ে নিয়েছে কিউয়িদের হাতের মুঠো থেকে। রান তাড়ার গোড়াতেই চাপে পড়ে গিয়েছিল কিউয়িরা। ১৭ রানের মধ্যে পড়ে গিয়েছিল তিন উইকেট। প্রথমে মার্টিন গাপ্টিলকে এলবিডব্লিউ করেছিলেন জশপ্রীত বুমরা (Jasprit Bumrah)। পরে রিপ্লেতে দেখা গেল বল স্টাম্পে লাগছে না, উপর দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে। এরপর ওয়াশিংটন সুন্দর বোল্ড করেছিলেন কলিন মুনরোকে। ১৭ রানে পড়েছিল দ্বিতীয় উইকেট। ওই রানেই পড়েছিল তৃতীয় উইকেটও। রান আউট হয়েছিলেন টম ব্রুস। জয়ের অন্যতম নায়ক অবশ্যই জশপ্রীত বুমরা। চার ওভারে মাত্র ১২ রান দিয়ে তিনি নিলেন তিন উইকেট। তিনিই ম্যাচের সেরা। নবদীপ সাইনি নিলেন দুই উইকেট। দিলেন ২৩ রান। শার্দুল ঠাকুরও (Shardul Thakur) নিলেন দুই উইকেট। তবে দিলেন ৩৮ রান। বোলারদের দাপটেই ম্যাচে ফিরেছিল ভারত। এদিনের জয়ের অন্য তাৎপর্যও রয়েছে। বিরাট কোহালি বিশ্রাম নেওয়ায় অধিনায়ক ছিলেন রোহিত শর্মা। কিন্তু পায়ে টান ধরায় তিনি ফিল্ডিংয়ের সময় মাঠে নামতে পারেননি। ফলে ভারতকে নেতৃত্ব দিলেন লোকেশ রাহুল। তাঁর নেতৃত্বে এল এই দুর্দান্ত জয়। এই সিরিজের সেরাও হয়েছেন রাহুল। রস টেলর-টিম সেইফার্ট জুটি চতুর্থ উইকেটে এর পর যোগ করলেন ৯৯ রান। তার মধ্য়ে দশম ওভারে শিবম দুবের থেকেই ৩৪ রান নিলেন দু’জনে। যা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বাধিক। ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ডারবানে ইংল্যান্ডের স্টুয়ার্ট ব্রডকে ছয় ছক্কা মেরেছিলেন ভারতের যুবরাজ সিংহ। এক ওভারে বেশি রানের তালিকায় দুবে থাকলেন ব্রডের ঠিক পরেই।এই ওভারই ম্যাচে ফিরিয়ে আনল কিউয়িদের। কিন্তু সেইফার্ট ফিরতেই নামল ধ্বস।এটা ছিল রস টেলরের কেরিয়ারের শততম টি-টোয়েন্টি। বোঝাই যাচ্ছিল, এই ম্যাচকে স্মরণীয় করে তুলতে চান তিনি। তবে তাঁর আগে পঞ্চাশে পৌঁছে গিয়েছিলেন সেইফার্ট। যা এসেছিল ২৯ বলে। শেষ পর্যন্ত নবদীপ সাইনির বলে ৫০ রানে আউট হলেন তিনি। তাঁর ইনিংসে ছিল পাঁচটি চার ও তিনটি ছয়। পরের ওভারেই ফের আঘাত হেনেছিল ভারত। জশপ্রীত বুমরার দুরন্ত ইয়র্কারে বোল্ড হয়েছিলেন ড্যারিল মিচেল। ১১৯ রানে পড়েছিল পঞ্চম উইকেট। আরও পড়ুন: BCCI Cricket Advisory Committee: বিসিসিআই-র ক্রিকেট উপদেষ্টা কমিটিতে মদন লাল, আরপি সিং ও সুলক্ষনা নায়েক
লোকেশ রাহুল ও রোহিত শর্মার (Rohit Sharma) জুটিতে বড় রানের ভিত গড়েছিল ভারত। রাহুল ফেরার পর রোহিত সেই মঞ্চেই ঝড় তুললেন। চার মেরে পৌঁছলেন হাফ-সেঞ্চুরিতে (Half-Century)। পঞ্চাশের পর অবশ্য রান নিতে গিয়ে কাফ মাসলের সমস্যায় পড়লেন তিনি। তার পর ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই মারলেন ছয়। কিন্তু খুচরো রান নিতে না পারায় ফিরে গেলেন ড্রেসিংরুমে। তখন ৪১ বলে তাঁর রান ৬০। যাতে ছিল তিনটি চার ও তিনটি ছয়। রান তাড়া করে হারের সংখ্যা পাঁচ। ভারত আবার এই মাঠে এই প্রথম টি-টোয়েন্টি খেলছে। নিউজিল্যান্ড এই মাঠে আবার চার বার জিতেছে, হেরেছে এক বার। একটি ম্যাচের নিষ্পত্তি হয়নি। ভারত এই মাঠের অতীতের কথা মাথায় রেখেই প্রথমে ব্য়াট করার সিদ্ধান্ত নিল। পছন্দের রান তাড়ার দিকে ঝুঁকল না।