ওয়েস্ট ইন্ডিজ ভারতের বিপক্ষে জয় তুলে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়। ত্রিনিদাদে ব্যাটিংয়ের কঠিন পরিস্থিতিতে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ভেঙে পড়ে ভারত। ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ১৪৯ রান করে। রান তাড়া করতে নেমে তৃতীয় ওভারে শুভমন গিলকে স্টাম্পিংয়ের শিকার করেন আকেল হোসেইন। পঞ্চম ওভারে ওবেড ম্যাককয় ইশান কিষাণকে ফেরান। সূর্যকুমার যাদব টি-টোয়েন্টিতে বেশ সাবলীল, শুরুটাও করেছিলেন সেভাবে। তাঁর সঙ্গে ব্যাট করেন দলে নতুন অভিষিক্ত তিলক ভার্মা। এই জুটি ৯ ওভারে ২ উইকেটে ৬৬ রান করে ভারতকে মোটামুটি আরামদায়ক অবস্থায় নিয়ে যায় এবং মাত্র ১৫ রানের হোসেইনের তিন ওভার থাকা সত্ত্বেও খেলা ছিল ভারতের দখলে। Best T-20 XI of All Time by ChatGPT: চ্যাটজিপিটির টি-২০ সেরা একাদশের অধিনায়ক এম এস ধোনি, বাকী দলে কারা?
পরের দুই ওভারে শিমরন হেটমায়ার প্রথমে সুর্যকুমার এবং পরে ভার্মাকে আউট করেন এবং ১১ ওভারে ৭৭ রানে ৪ উইকেটে নেমে যায় ভারত, দরকার ছিল ৫৪ বলে ৭৩ রান। নেওয়া কঠিন তখন হোসেইন চার ওভারে ১৭ রানে ১ উইকেট তুলে নেন। এমন সময় হার্দিক পাণ্ড্য ও সঞ্জু স্যামসনও ভারতকে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। জেসন হোল্ডারের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান হার্দিক ও স্যামসন কাইল মেয়রসের বলে রান আউট হয়ে দলকে চাপে ফেলে দেন। যখন ৩০ বলে ৩৭ রান প্রয়োজন তখন জেসন হোল্ডার ভারতের থেকে খেলা সরিয়ে নেন। রান না নিয়ে ২৪ বলে ৩৭ রানের প্রয়োজনে ১৮তম ওভারে অক্ষর প্যাটেল হেটমায়ারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। শেষ ওভারে অর্শদীপ যখন স্ট্রাইক পেলেন, তখন ভারত ৮ রানে পিছিয়ে ছিল এবং ৪ বলে ৯ রান দরকার ছিল। এরপর রোমারিও শেফার্ড তাঁর ওয়াইড ইয়র্কার দিয়ে অর্শদীপকে আটকান এবং শেষ বলে মুকেশ কুমারকে আউট করেন এবং শেষ পর্যন্ত ভারত ৪ রানে হেরে যায়।