অন্ধ্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (Andhra Cricket Association) দাবি উড়িয়ে দিলেন ভারতীয় ব্যাটার হনুমা বিহারী (Hanuma Vihari)। বিহারী ২০২৩-২৪ রঞ্জি মরসুমে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের জন্য তাঁর অধিনায়কত্বের ক্ষতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং জানান,'তিনি আর কখনও অন্ধ্রের হয়ে খেলবেন না'। গত ২৫ মার্চ বিহারীকে ই-মেলের মাধ্যমে নোটিস পাঠিয়ে তাঁর মন্তব্যের ব্যাখ্যা চেয়েছিল এসিএ। ESPNcricinfo-কে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় বিহারী জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে যে 'অন্যায্য' আচরণ করা হয়েছে, তা তিনি তুলে ধরেছেন। হনুমা বলেন, 'আমি চলে যেতে চাই এবং অন্য দলের হয়ে খেলতে চাই। আমি এসিএর কাছে নো-অবজেকশন সার্টিফিকেট চেয়েছি।... আমি জবাবের অপেক্ষায় আছি।' বৃহস্পতিবার বিকেলে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছিল, অন্ধ্রের অধিনায়কের পদ থেকে বিহারীকে যেভাবে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাতে আপত্তি তোলার প্রায় এক মাস পরেই এসিএ তাঁকে নোটিশ দেয়। Govt. Put AIFF on Notice: সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকে কেন্দ্রীয় সরকারের নোটিশ
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এসিএ-র এক আধিকারিক সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, 'হ্যাঁ, আমরা তাঁকে শো-কজ নোটিশ পাঠিয়েছি এবং আমরা তাঁর জবাবের অপেক্ষায় রয়েছি। এটা শুধু গত মাসে তিনি যেভাবে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে তার উত্তর খুঁজে বের করার জন্য। তিনি আমাদের সাথে যোগাযোগ করেননি, তাই তার অভিযোগগুলি প্রকাশ্যে আসার জন্য এটি একটি সুযোগ।' তিনি আরও বলেন, 'সর্বোপরি, আমরা বিহারি এবং রাজ্য ক্রিকেটের বৃদ্ধিতে তার অবদানকে মূল্য দিই কারণ তিনি ঘরোয়া ক্রিকেটে অন্ধ্রের র্যাঙ্কিংয়ে বড় ভূমিকা পালন করেছেন।'
২৬ ফেব্রুয়ারি বিহারি বলেন যে ২০২৩-২৪ রঞ্জি ট্রফি চলাকালীন এসিএর কাছ থেকে তিনি যে আচরণ পেয়েছিলেন সেটাতে তিনি 'অপমানিত' হয়েছেন। কোয়ার্টার ফাইনালে মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে মাত্র ৪ রানে হেরে যাওয়ার পর তিনি কথা বলেন। ইনস্টাগ্রাম পোস্টে বিহারী অভিযোগ করেন, জানুয়ারিতে বাংলার বিরুদ্ধে অন্ধ্রের প্রথম রাউন্ডের ম্যাচের পর তাঁকে অধিনায়কত্ব ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছিল। সে সময় তিনি এই সিদ্ধান্তের পেছনে 'ব্যক্তিগত কারণ' উল্লেখ করলেও পরে বলেন, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কারণে অ্যাসোসিয়েশন তার বিরুদ্ধে 'ব্যবস্থা' নিয়েছে।