Happy Birthday Sourav Ganguly: সৌরভ গাঙ্গুলির ৪৮-তম জন্মদিনে টুইটারে শচিন লক্ষণের শুভেচ্ছা, মেয়ের সঙ্গে কেক কাটবেন বাংলার মহারাজ
শচিন সৌরভ ও লক্ষণ (Photo Credits: Getty Images / Twitter)

জীবনের ৪৭টা বসন্ত কাটিয়ে ফেলেছেন ভারতীয় ক্রিকেটের  সর্বকালের সেরা অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি। আজ তিনি ৪৮ বছরে পা দিলেন। প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলির (Sourav Ganguly) জন্মদিনে শুভেচ্ছা বার্তায় উপচে পড়ছে সোশ্যাল মিডিয়া। শুধু শুভাকাঙ্খী বা অনুরাগী ক্রিকেট ভক্তরাই নন, বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা ক্রিকেটাররাও জানাচ্ছেন শুভেচ্ছা। ৪৮-এ পা দিয়ে নতুন একটা ভূমিকাতেও দেখা যাবে বাংলার মহারাজকে। এটিকে-মোহনবাগানের ডিরেক্টর বোর্ডে এসেছেন সৌরভ। ১০ জুলাই প্রথম মিটিংয়ের ভিডিও কনফারেন্সে থাকছেন। সৌরভের কথায়, “মোহনবাগানের খেলা তো মাঠে বসে দেখেছি। খেলেওছি। ওদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ভালো তো লাগবেই। আর এটিকের সঙ্গে তো ছিলামই। এখন মোহনবাগান আসায় ব্যাপারটা আরও ভাল হল।”

৯২ সালে খেলোয়াড় জীবন শুরু করলেও প্রথম দিকটা খুব একটা সুখের ছিল না। তবে ১৯৯৬ সালে লর্ডসের সেঞ্চুরির পর সৌরভ গাঙ্গুলিকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। অফ সাইডে গিয়ে বল মারার ক্ষমতা কজনের হয়। এই কারণেই বাংলার মহারাজ ২২ গজের ‘অফ সাইড ঈশ্বর’ হিসেবেই খ্যাত। আইসিসি থেকে সুরু করে সতীর্থ ক্রিকেটার শচিন তেন্ডুলকর, ভিভিএস লক্ষণ, মহম্মদ কাইফ,-সহ আরও অনেক তারকা খেলোয়াড় দাদির ৪৮-তম জন্মদিনে জানালেন শুভেচ্ছা। প্রিয় মুহূর্তের ছবি টুইটারে পোস্ট করে স্মৃতি উসকে দিলেন। ২০০৮ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন সৌরভ গাঙ্গুলি। তখন তাঁর ঝুলিতে ঢুকে পড়েছে ১১৩ টি টেস্ট ম্যাচের ৭ হাজার ২১২ রান। ৩১১টি ওয়ানডে- খেলে দাদার সংগ্রহে তখন ১১ হাজার ৩৫৩ রান।

তবে ভারতীয় ক্রিকেটে সৌরভ গাঙ্গুলির অবদান ও কাজ অবসরের পরেও শেষ হয়নি। ২০১৯ সালে তিনি বিসিসিআই সভাপতি হলেন। তখন থেকে এখন পর্যন্ত ভারতীয় ক্রিকেট্র জন্য সৌরভ গাঙ্গুলি অনেক কিছু করেছেন। তাঁর সভাপতিত্বেই প্রথম গোলাপী বলের দিনরাতের আন্তর্জাতিক টেস্ট খেলল ভারত। ক্রিকেটের মক্কা কলকাতার ইডেনের ২২ গজ সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী। আজ মহারাজের জন্মদিন, করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউন চলছে। তাই কোনও বড় অনুষ্ঠান নয় বাড়িতে মেয়ে সানার সঙ্গেই কেক কাটবেন দাদা। একটি সংস্থা দাদার নামে মাস্ক বাজারে আনছে, তাদের তরফে ছোট অনুষ্ঠান হতে পারে। তবে সেখানে যাচ্ছেন না দাদা। অনলাইনেই সারাদিন বোর্ডের যাবতীয় কাজ সারবেন।