রুদ্ধশ্বাস দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে (IND vs WI 2nd ODI) হারিয়ে সিরিজ জিতল ভারত। অক্সার পটেলের দাপটে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই একদিনের সিরিজ পকেটে পুরল ভারত। ক্য়ারিবিয়ানদের ৩১২ রান তাড়া করতে নেমে অর্ধশতক করেন শ্রেয়স আয়ার ও সঞ্জু স্যামসন। কিন্তু শেষ দিকে ৩৫ বলে অক্সারের অপরাজিত ৬৪ রানে ভর করে ম্যাচ পকেটে পুরে ফেলে টিম ইন্ডিয়া। শেষ বলে ছক্কা হাঁকান অক্ষার।
টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং শুরু করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ওপেনার সাই হোপ ও কাইল মেয়ার্স। ভারতের হয়ে প্রথম একদিনের ম্যাচ খেলতে নামা আবেশ খানকে নিশানা করেছিলেন তাঁরা। ১২৫ বলে আটটি বাউন্ডারি এবং তিনটে ছক্কা হাঁকিয়ে তিনি মোট ১১৫ রান করেন হোপ। অন্যদিকে নিকোলাস পুরান ৭৪ এবং কাইল মায়ার্স ৩৯ রানের ইনিংস উপহার দেন। নির্ধারিত ৫০ ওভারে তারা ৬ উইকেট হারিয়ে ৩১১ রান তোলে ক্যারিবিয়ানরা। ভারতের হয়ে সবথেকে বেশি তিনটে উইকেট নিয়েছেন শার্দূল ঠাকুর। এছাড়াও একটি করে উইকেট নিয়েছেন দীপক হুদা, যুজবেন্দ্র চাহাল এবং অক্সার প্যাটেল।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা খারাপ করেনি টিম ইন্ডিয়ার দুই ওপেনার শিখর ধাওয়ান এবং শুভমন গিল। ভারতের ইনিংসের সময় বৃষ্টি নামলে ম্যাচ কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ রাখতে হয়। ভারতের স্কোরবোর্ডে তখন কোনও উইকেট না হারিয়ে ৪১ রান। ৯.৪ ওভারের থামাতে হয় খেলা। তখনও পর্যন্ত ভারতকে জেতার জন্য ২৭১ রান করতে হত। বৃষ্টি থামার পর খেলা শুরুর পর মাত্র ১৩ রানে ফিরে যান ধাওয়ান। ৪৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন শুভমনও। এরপর শ্রেয়স আইয়ার ও সঞ্জু স্যামসন জুটি বেঁধে দলের রানকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। দুজনেই অর্ধশতরান করেন। ৬৩ রান করে শ্রেয়স আউট হয়ে যান। সঞ্জু করেন ৫৪ রান। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ৮ রান দরকার ছিল ভারতের। হাতে ছিল মাত্র ২ উইকেট। প্রথম বলে রান হয়নি। পরের বলে ১ রান নেন অক্সার। তৃতীয় বলে সিঙ্গল নেন মহম্মদ সিরাজ। চতুর্থ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে জিতিয়ে দেন অক্সার। ৩৫ বলে ৬৪ রান করে অপরাজিত থেকে যান তিনি।