সাফল্যের জন্য ট্র্য়াডিশান ভাঙছে ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন। তিতের ইস্তফার পর নেইমার-রিচার্লিসনদের জন্য নতুন কোচ খোঁজার সীমানা আর দেশের মধ্যে রাখছে না ব্রাজিল। সাম্বার দেশের রীতি হল জাতীয় দলের কোচ ব্রাজিলেরই হতে হবে। লুই ফিলিপ স্কোলারি থেকে মারিও জাগালো, তিতে, কার্লোস আলবার্তো পাহিরা- ব্রাজিলের জাতীয় দলের কোচ হন সে দেশের নাগরিকরাই। কিন্তু এবার সেই রীতি ভেঙে বিদেশী কোচেদেরও মনোনয়নের তালিকা রাখা হচ্ছে বলে জানালেন ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশনের সভাপতি এডনাল্ডো রডগরিজ। ব্রাজিলের কোচ হতে হলে আর ব্রাজিলিয়ানই হতে হবে এমন কোনও শর্ত থাকছে না। খুব সম্ভবত এপ্রিলে নেইমারদের নতুন কোচের নাম ঘোষণা করা হতে পারে। যাকেই দায়িত্ব দেওয়া হোক তাঁর সঙ্গে ২০২৬ বিশ্বকাপ পর্যন্ত চুক্তি করবে পেলের দেশের ফুটবল ফেডারেশন। জিদান, পেপ গুর্য়াদিওয়ালকে চেষ্টা করলেও পাচ্ছে না ব্রাজিল।
তবে শুধু ব্রাজিল নয়, আর্জেন্টিনা, ফ্রান্স সহ বিশ্বের প্রথম সারির দেশগুলিতেও রীতি হল দেশীয় কোচকেই জাতীয় দলের দায়িত্ব দেওয়া। যদিও ইংল্য়ান্ডকে বিশ্বকাপে কোচিং করান সুইডেনের স্কেন গোরান এরিকসন ও ইতালির ফাবিও কাপালো।
কিন্তু ব্রাজিল আর সেসব রীতি মানতে রাজি নয়। কারণ ব্রাজিলের কোচেরা সেভাবে আর সাফল্য পাচ্ছেন না। রোনাল্ডো-রোনাল্ডিনহোরা কোচিংয়ে আগ্রহ নেই। পাহিরা, স্কোলারিরা ফিরতে রাজি হচ্ছে না। তাই বিদেশী কোচেদের নেইমাদের দায়িত্ব দিতে রাজি হচ্ছে ব্রাজিল। পাঁচ-পাঁচটা বিশ্বকাপ হয়ে গেল চ্যাম্পিয়ন হওয়া তো দূরের কথা, ব্রাজিল ফাইনালেও উঠতে পারেনি। শেষ দুটো বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই বিদায় নেন নেইমাররা। ২০১৪ বিশ্বকাপে নিজেদের দেশে সেমিফাইনালের কাছে জার্মানির কাছে সাত গোলে হারের মহালজ্জা। ২০১০ বিশ্বকাপেও শেষ আটে হার। সব মিলিয়ে বিশ্বকাপে ব্রাজিলের ভরাডুবির গল্প চলছেই। ২০২৬ বিশ্বকাপ জিততে না পারলে সবচেয়ে বেশী বছর খেতাব না জেতার লজ্জা হজম করতে হবে পেলের দেশকে। ১৯৭০-র পর চতুর্থ বিশ্বকাপটা জিততে ব্রাজিলের লেগেছিল ২৪ বছর। এবার ২০০২-র পর ২০২৬ বিশ্বকাপে ব্রাজিল নামবে ২৪ বছরের প্রতীক্ষা ঘোঁচাতে।