আরও একটা রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ দেখল নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়াম। টি২০ বিশ্বকাপের সুপার সানডে তে এই মাঠে ভারত-পাকিস্তান মহারণ দেখা গিয়েছিল। সেই মাঠেই ২১নং ম্যাচে সোমবারে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই ম্যাচও শেষ হল রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতিতে। শেষ বলে ৪ রানে জয় পেয়ে সুপার এইটে চলে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা।
এই মাঠে টস জেতার পর অধিনায়ককে জিজ্ঞেস করারই দরকার নেই। জানা কথাই তিনি বোলিং নেবেন।কিন্তু নাসাউ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমে বোলিং করার টেমপ্লেটটাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে। ফলাফল কঠিন পিচে ব্যর্থ টপ অর্ডার। হেনরিখ ক্লাসেন এর ৪৬ এবং ডেভিড মিলারের ২৯ এর সৌজন্যে শেষ অবধি নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১১৩ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। এই রান যথেষ্ঠ নয়। যদিও আগের দিন ভারত যে ভাবে ১১৯ রানের পুঁজি নিয়েও জিতেছিল, তেমন কিছুরই চেষ্টায় ছিল প্রোটিয়া শিবির।
১১৪ রানের লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নেমে আবারও টপ অর্ডার ফের ব্যর্থ।প্রথম থেকেই নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারায় তাঁরা। তানজিদ হাসান (৯), নাজমুল হোসেন শান্ত (১৪), লিটন দাস (৯), সাকিব আল হাসান (৩) কেউই বড় রানের ইনিংস খেলতে পারেননি। অনরিখ নর্টজে সাকিবকে ফেরাতেই ম্যাচ থেকে ক্রমশ হারিয়ে যায় বাংলাদেশ। এরপর তৌহিদ হৃদয় এবং মাহমুদুল্লা রিয়াধ এর ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ কিছুটা হলেও জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল। ৩৪ বলে ৩৭ রান করে হৃদয় ফিরলেও রিয়াধ শেষপর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন। শেষ দু-ওভারে বাংলাদেশের টার্গেট দাঁড়ায় ১৮ রান। বাংলাদেশ ক্রিকেটে মিস্টার ফিনিশার হিসেবে পরিচিত মাহমুদুল্লা রিয়াধ তখনও ক্রিজে। স্বাভাবিক ভাবেই জয়ের স্বপ্ন দেখছিল বাংলাদেশ। শেষ ওভারে টার্গেট দাঁড়ায় ১১। সুপার ওভারের পরিস্থিতিও ছিল। কিন্তু , ১৯.৫ ওভারে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে একেবারে বাউন্ডারি লাইনে এইডেন মার্করামের হাতে ক্যাচ দিয়ে বসেন রিয়াধ। ওখানেই শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের জয়ের স্বপ্ন।