স্টিং অপারেশনে ভারতীয় ক্রিকেটের নির্বাচক কমিটির প্রধান চেতন শর্মা (Chetan Sharma)-র একের পর বিস্ফোরণের জেরে তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল। শোনা যাচ্ছিল, শাস্তি হিসেবে চেতন শর্মাকে সরিয়ে দিতে পারে বোর্ড। কিন্তু সে সবের সময় না দিয়ে চেতন নিজেই সরে দাঁড়ালেন। শুক্রবার সকালে, কোটলা টেস্ট শুরুর আগে নির্বাচক কমিটির প্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দেন চেতন শর্মা। দেরি না করে তাঁর ইস্তফা গ্রহণ করেন বিসিসিআই সচিব জয় শাহ। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে শেষ দুটি টেস্টের জন্য দল গঠনে নির্বাচকদের বৈঠকে থাকবেন না চেতন শর্মা।
গত বছর অক্টোবরে টি-২০ বিশ্বকাপের পর চেতন শর্মা-কে সরানোর পর ফের তাঁকেই নতুন নির্বাচন কমিটির প্রধানের পদ দেওয়া হয়েছিল।
ক দিন আগে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের স্টিং অপারেশনে সৌরভ গাঙ্গুলির সঙ্গে -বিরাট কোহলির বিবাদে নেতৃত্ব যাওয়া থেকে, ক্রিকেটাররা ম্যাচের আগে ইঞ্জিকেশন ব্যবহার করে ফিট হন সহ বেশ কয়েকটি বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন তিনি। তখনই মনে হয়েছিল, চেতনের ঘাড়ে বড় শাস্তির খাঁড়া ঝুলছে। আরও পড়ুন-পূজারার শততম টেস্টে বিশেষ যা হল
গোপন ক্যামেরার সামনে ঠিক কী বলেছিলেন চেতন শর্মা! সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের স্টিং অপারেশনে চেতন শর্মা বলেন, টিম ইন্ডিয়ার ক্রিকেটাররা ফিট থাকার জন্য ইঞ্জেকশন নেন এবং তাঁরা জানেন কোন ইঞ্জেকশন ডোপ টেস্টে ধরা পড়ে না। পাশাপাশি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও বিরাট কোহলিকে নিয়েও সেই স্টিং অপারেশনে বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন তিনি। চেতন ফাঁস করেন, সেই সময় বিসিসিআই সভাপতি থাকা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের এবং প্রাক্তন অধিনায়ক বিরাট কোহলির মধ্যে বিশাল ব্যক্তিত্বের সংঘাত ছিল। সৌরভের সঙ্গে বিবাদের জেরেই নেতৃত্ব ছিলেন বিরাট। সেই সঙ্গে বিরাট কোহলিকে ও রোহিত শর্মাকে দল থেকে বাদ দেওয়ার নানা রকম অজুহাত তৈরি করা হচ্ছিল৷