দেশের মাটিতে প্রথমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, তারপর দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে একচেটিয়াভাবে সিরিজ জিতে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের পথে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু ভারত সফরে এসে প্রথমে নাগপুর, তারপর দিল্লিতে হেরে কিছুটা অনিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল অজিদের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ফাইনালে ওঠা। তবে ইন্দোরে দুরন্ত কায়দায় ভারতকে ৯ উইকেটে হারিয়ে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ওঠা নিশ্চিত করল অস্ট্রেলিয়া। ইন্দোরে জয়ের পর অজিদের পয়েন্ট দাঁড়াল ১৬৮, শতাংশ ৬৮.৫২। বাকিদের ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গেল ক্যাঙারু বাহিনী। এমনিতে অস্ট্রেলিয়ার ফাইনালে ওঠা নিয়ে মাস দুয়েক আগে থেকেই তেমন সংশয় ছিল না। তবু ইন্দোরে স্টিভ স্মিথদের দারুণ জয়ে সেটাতে সরকারী সিলমোহর পড়ল। ২০২১-২৩-র মধ্যে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের মধ্য়ে থাকা ১৮টির মধ্যে ১১টি-তে জিতে ফাইনালে ওঠা নিশ্চিত হল অজিদের।
আগামী ৭ জুন ওভালে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে অজিদের প্রতিপক্ষ হিসেবে এখনও টিম ইন্ডিয়াই এগিয়ে। আগামী ৯ মার্চ থেকে আমেদাবাদে সিরিজের চতুর্থ তথা শেষ টেস্টে ভারত জিতলে বা ড্র করলেও ফাইনালে উঠে যাবে। তবে রোহিত শর্মারা নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে সেই টেস্টে হেরে গেলে সুযোগ এসে যাবে শ্রীলঙ্কা বা দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে। এখন পয়েন্ট তালিকায় তিনে থাকা শ্রীলঙ্কার কাছে ফাইনালে ওঠার কাজটা বেশ কঠিন। কারণ শ্রীলঙ্কাকে এবার নিউ জিল্যান্ড সফরে দুই টেস্টের সিরিজ জিততে হবে। আরও পড়ুন-জর্জি হজের সঙ্গে সম্পর্কের কথা ঘোষণা ইংল্যান্ড ক্রিকেটার ড্যানিয়েল ওয়াটের
কিউইদের দেশে শ্রীলঙ্কার টেস্টে পারফরম্যান্স খুবই খারাপ। বরং দেশের মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দেশের মাটিতে দু টেস্টে সিরিজে ১-০ এগিয়ে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার ফাইনালে ওঠার সুযোগটা বেশী আছে। যদিও ভারত-অস্ট্রেলিয়া ফাইনাল নিশ্চিত হবে রোহিতরা আমেদাবাদে জিতে গেলেই। প্রথম বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল নিউজিল্যান্ড (২০২১ সালে)।
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ২০২১-২৩ পয়েন্ট তালিকা
১) অস্ট্রেলিয়া (৬৮.৫২%, ১৪৮ পয়েন্ট) (১৮টি টেস্টে ১১টি জয়, ৩টি হার, ৪টি ড্র)
২) ভারত (৬০.২৯, ১২৩ পয়েন্ট) (১৭টি টেস্টে ১০টি জয়, ৫টি হার, ২টি ড্র)
৩) শ্রীলঙ্কা (৫৩.৩৩%, ৬৪ পয়েন্ট) (১০টি টেস্টে ৫টি জয়, ৪টি হার ১টি ড্র)
৪) দক্ষিণ আফ্রিকা (৫২.৩৮%, ৮৮ পয়েন্ট) (১৪টি টেস্টে ৭টি জয়, ৬টি হার, ১টি ড্র)
লড়াইয়ে নেই
৫)ইংল্যান্ড (৪৬.৯৭%, ১২৪ পয়েন্ট)
৬) পাকিস্তান (৩৮.১% ৬৪ পয়েন্ট)
৭) ওয়েস্ট ইন্ডিজ (৩৭.৫%, ৫৪ পয়েন্ট)
৮) নিউ জিল্যান্ড (২৭.২৭%, ৩৬ পয়েন্ট)
৯) বাংলাদেশ (১১.১১%, ১৬ পয়েন্ট)