ভারতের বেশিরভাগ জায়গায় বর্তমানে চলছে বর্ষার মরসুম। গরম থেকে স্বস্তি পাওয়ার জন্য বর্ষাকাল খুব ভালো হলেও মশার কারণে রোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয় এই মরসুম। এই সময় ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পায়। প্রতি বছর বিপুল সংখ্যক মানুষ শিকার হয় মশাবাহিত রোগে। এই রোগে অনেকের জন্য মারাত্মক হয়ে ওঠে। ডেঙ্গু ছাড়াও এই মরসুমে জিকা ভাইরাসের ঝুঁকি বেড়ে যায়, এই রোগও মশার কামড়েই হয়। ডেঙ্গু এবং জিকা ভাইরাস উভয় রোগের লক্ষণ হয় প্রায় একই রকম। এই কারণেই এই রোগের পার্থক্য বুঝতে বিভিন্ন অসুবিধা হয়, এর ফলে সমস্যা আরও বেড়ে যায়।

ডেঙ্গু এবং জিকা ভাইরাস উভয়ই মশাবাহিত রোগ। তবে এই মশা শুধু দিনের বেলায় কামড়ায়। সকাল ও সন্ধ্যায় এসব মশা থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করতে হবে। ডেঙ্গু ভাইরাস এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তির মধ্যে ছড়ায় না, কিন্তু জিকা ভাইরাস একটি সংক্রামক রোগ, যা একজন রোগী থেকে অন্য রোগীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। জিকা ভাইরাস গর্ভাবস্থায় নাভির মাধ্যমে মা থেকে সন্তানের মধ্যে প্রবেশ করতে পারে। এছাড়া এই ভাইরাস রক্তের সংক্রমণের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে। ডেঙ্গু এবং জিকা ভাইরাস উভয় রোগের লক্ষণ প্রায় একই। ডেঙ্গু এবং জিকা ভাইরাস হলে জ্বর, মাথাব্যথা, ক্লান্তি, চোখে ব্যথা, শরীর ব্যথা, শরীরে ফুসকুড়ি হওয়ার মতো উপসর্গ দেখতে পাওয়া যায়।

ডেঙ্গু হলে বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া, খেতে ইচ্ছা না হওয়া, ডায়রিয়া এবং নাক দিয়ে রক্ত পড়ার মতো উপসর্গও দেখতে পাওয়া যায়। ডেঙ্গু রোগে মৃত্যুর ঝুঁকি থাকে। জিকা ভাইরাস গর্ভবতী মহিলাদের জন্য খুবই ভয়ঙ্কর হতে পারে, এই ভাইরাসের কারণে গর্ভপাত এবং জন্মগত ত্রুটির কারণ হতে পারে। মশা থেকে নিজেকে রক্ষা করা খুবই জরুরি। মশা থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য মশারি ব্যবহার করা, ফুলহাতা কাপড় পরা, মশা থেকে বাঁচার ক্রিম ব্যবহার করা উচিত। বাড়ির ভিতর এবং চারপাশে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। কোথাও জল জমতে দেওয়া যাবে না।