প্রতি বছর ওরাল স্বাস্থ্য দিবস পালন করা হয় ২০ মার্চ। এই দিনটি উদযাপনের উদ্দেশ্য হল মুখের ভিতরের স্বাস্থ্য এবং স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা। বর্তমানে মুখের ভিতরে হওয়া সমস্যা হয়ে উঠেছে খুবই সাধারণ বিষয়। তাই এই দিনে মানুষকে মুখের পরিচ্ছন্নতা, এবং দাঁতের শক্তি ও উজ্জ্বলতা বজায় রাখার গুরুত্ব বোঝানো হয়। দাঁতের শক্তি ও উজ্জ্বলতা বজায় রাখা কোনও কঠিন কাজ নয়, তবে জানা অজানা কিছু ভুলের কারণে দাঁত দুর্বল হয়ে যায় এবং দাঁতে হলদে বা কালচে ভাব দেখা দেয়। এমন কিছু বদ অভ্যাস‌ রয়েছে যা ছেড়ে দিলে সকলের দাঁত মজবুত ও চকচকে হওয়া সম্ভব। এবার জেনে নেওয়া যাক এই বদ অভ্যাসগুলো কী কী।

  • বেশিরভাগ মানুষ মনে করেন যে দাঁতের উপর যত জোরে ব্রাশ ঘষা হবে দাঁত তত ভালোভাবে পরিষ্কার হবে। কিন্তু খুব জোরে জোরে ব্রাশ করা একদমই উচিত নয়, এর ফলে দাঁতের ক্ষতি হয়। অতিরিক্ত ব্রাশ করার ফলে গহ্বরের সংবেদনশীলতা বাড়তে পারে এবং মাড়ির সমস্যা হতে পারে। খুব ঠান্ডা এবং খুব গরম খাবারও গহ্বরের সংবেদনশীলতা বাড়াতে পারে। তবে দিনে দুবার দাঁত ব্রাশ করাও খুব জরুরি।
  • চিনি দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। অতিরিক্ত চিনি বা চিনি জাতীয় খাবার খাওয়ার ফলে মুখের অ্যাসিড উৎপাদনকারী ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি পায়। জেলি ক্যান্ডির মতো আঠালো মিষ্টি দাঁতের জন্য আরও ক্ষতিকর।
  • অনেকেরই ঘুমের সময় চা বা কফি পান করার অভ্যাস এবং রাতে আইসক্রিম, মিষ্টি বা দুধ খেয়ে ঘুমানোর অভ্যাস থাকে। কিন্তু খাওয়ার পর মুখ না পরিষ্কার করা দাঁতের জন্য ক্ষতিকর। এর ফলে মুখের মধ্যে জীবাণু ছড়ায়, দাঁত দুর্বল হয়ে পড়ে এবং দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে। তাই রাতে ঘুমানোর আগে ব্রাশ করে বা ভালো করে মুখ ধুয়ে নেওয়া উচিত।
  • অনেকেরই নার্ভাস হলে নখ কামড়ানোর অভ্যাস থাকে। এর ফলে মুখে ব্যাকটেরিয়া ছড়ায়। এই ব্যাকটেরিয়া দাঁতেরও ক্ষতি করে। তাই নখ কামড়ানোর অভ্যাস মুখের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
  • দাঁতকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা, যেমন বোতল খোলা, প্যাকেট ছিঁড়ে দেওয়া, এই ধরনের কাজ করা উচিত নয়। এর ফলে দাঁত ও চোয়ালে আঘাতের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। দাঁতের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে দাঁতকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা বন্ধ করতে হবে।