ভিটামিন ডি শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব মিটিয়ে হাড়কে শক্তিশালী করতে কাজ করে। এছাড়া ভিটামিন ডি পেশী, স্নায়ু এবং ইমিউন সিস্টেমকে আরও ভালোভাবে কাজ করতেও সাহায্য করে। তবে কোনও কিছুই অতিরিক্ত ভালো হয় না। শরীরে অতিরিক্ত মাত্রায় ভিটামিন ডি থাকলে হাইপারভিটামিনোসিস ডি নামক রোগ হতে পারে। এই রোগ তখন হয় যখন খাবার বা সূর্যের আলোর মাধ্যমে নয়, ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি পূরণ করার জন্য ওষুধ ব্যবহার করা হয়।
শরীরে অতিরিক্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি বাড়তে শুরু করলে রক্তে ক্যালসিয়াম জমতে শুরু করে, যার কারণে শরীরে দুর্বলতা, বমি বমি ভাব এবং ঘন ঘন প্রস্রাবের সমস্যা শুরু হয়। এছাড়া অতিরিক্ত ভিটামিন ডি এর কারণে শরীরের হাড়ে প্রচণ্ড ব্যথা এবং কিডনির সমস্যা হওয়ার পাশাপাশি কিডনিতে ক্যালসিয়াম জমে পাথর তৈরি হতে শুরু করে।
শরীরে অতিরিক্ত ভিটামিন ডি এর লক্ষণগুলি হল শরীরে দুর্বলতা, ক্লান্তি, বিষণ্ণতা, বিভ্রান্তি, অত্যধিক প্রস্রাব, কিডনিতে পাথর। এছাড়া জ্বর, ঠান্ডা লাগা, গোলাপী চোখের মতো উপসর্গ হতে পারে। এমনকি কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যাও দেখা যায়। বয়স, ওজন, লিঙ্গ অনুযায়ী শরীরের ভিটামিন ডি এর ভিন্ন ভিন্ন পরিমাণ রয়েছে। ভিটামিন ডি-এর ঘাটতিতে ভুগলে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার পরই ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট নেওয়া উচিত।