Lal Bahadur Shastri Death Anniversary 2024: আজ ভারতের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর মৃত্যুবার্ষিকী, জেনে নিন তাঁর সম্পর্কে কিছু বিশেষ তথ্য

লাল বাহাদুর শাস্ত্রী ভারতের ইতিহাসে অন্যতম সেরা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে স্মরণীয় হয়ে আছেন।

India's Second Prime Minister Lal Bahadur Shastri (Photo Credit: X)

নয়াদিল্লি: আজ ভারতের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রী (India's Second Prime Minister Lal Bahadur Shastri)-এর ৫৮তম মৃত্যুবার্ষিকী। তাঁর স্লোগান, ‘জয় জওয়ান জয় কিষাণ’ সৈনিক এবং কৃষককে একত্রিত করে। লাল বাহাদুর তাঁর নম্র আচরণের জন্য খুব সহজেই জনসাধারণের মন জ্য় করতে পেরেছিলেন। লাল বাহাদুর শাস্ত্রী ১৯০৪ সালের ২ অক্টোবর উত্তর প্রদেশের বারাণসী থেকে সাত মাইল দূরে একটি ছোট রেলওয়ে শহর মুঘলসরাইতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা ছিলেন একজন স্কুল শিক্ষক, যিনি লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর বয়স যখন মাত্র দেড় বছর তখন মারা যান। লাল বাহাদুর তাঁর  প্রতিভার ভিত্তিতে বারাণসীর একটি জাতীয়তাবাদী বিশ্ববিদ্যালয় কাশী বিদ্যাপীঠ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।

লাল বাহাদুর বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি ব্রিটিশ শাসন থেকে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। তিনি মহাত্মা গান্ধী দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে মাত্র ১৬ বছর বয়সে অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন। ১৯২৭ সালে তিনি ললিতা দেবীর সঙ্গে বিয়ে করেন। শাস্ত্রীজির ৫৮তম মৃত্যুবার্ষিকীতে (Lal Bahadur Shastri 58 Death Anniversary) আসুন জেনে নেওয়া যাক তাঁর জীবনের সাথে সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়-

অহিংস প্রতিবাদ ও আইন অমান্য আন্দোলনে অংশগ্রহণের জন্য শাস্ত্রীজিকে ব্রিটিশরা বেশ কয়েকবার কারারুদ্ধ করেছিলেন। শুধু তাই নয়, ১৯৪২ সালের ভারত ছাড়ো আন্দোলনেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীন হওয়ার পর শাস্ত্রী উত্তর প্রদেশ সরকারের পরিবহন ও রেলপথ মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এর পরে তিনি ১৯৫২ সালে ভারতীয় সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভায় নির্বাচিত হন। আরও পড়ুন: Swami Vivekananda Jayanti 2024: আর কিছু দিন পরেই জাতীয় যুব দিবস, তাঁর আগে রইল স্বামী বিবেকানন্দের জীবন থেকে তুলে আনা পাঁচটি মজার ঘটনা

১৯৬১ সালে শাস্ত্রী ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে নিযুক্ত হন। এই সময়ে তিনি অত্যন্ত দক্ষতা ও কূটনীতির সঙ্গে ভারত ও চীনের মধ্যে সীমান্ত বিরোধের স্পর্শকাতর ইস্যুটি পরিচালনা করেন। তিনি ১৯৬১ সালে পর্তুগিজ শাসন থেকে গোয়াকে মুক্ত করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।

শাস্ত্রী ১৯৬৪ সালে প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচিত হন। দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর স্থলাভিষিক্ত হন। তিনি ১৯৬৪ সালের ৯ জুন থেকে ১৯৬৬ সালের ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত ভারতের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৬৬ সালের ১১ জানুয়ারি ভারত হারিয়েছে এই মহান ব্যক্তিত্বকে। পাকিস্তানের সঙ্গে শান্তি সম্মেলনে যোগদানের সময় উজবেকিস্তানের তাসখন্দে তিনি মারা যান। যাইহোক, তিনি ভারতের ইতিহাসে অন্যতম সেরা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে স্মরণীয় হয়ে আছেন।