Pitru Paksha 2025: হিন্দু ধর্মে পিতৃশ্রাদ্ধের একটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম হল শাস্ত্রাদিহাত শ্রাদ্ধ। পূর্ব পুরুষের আত্মার শান্তি কামনায় পিতৃপক্ষে এই আচার পালন করা হয়। মহালায়ার দিন যখন দেবী পক্ষের সূচনা হয় পিতৃপক্ষ কাটিয়ে, সেই সময় পূর্ব পুরুষকে স্মরণ করা হয়। তিল দান, জল দানের মাধ্যমে পূর্বজকে তুষ্ট করার চেষ্টা করেন তাঁদের বংশধররা। তাইতো মহালয়ার ভোরে গঙ্গা বা বিভিন্ন জলাশয়ের ঘাটে বহু মানুষের ভিড় দেখা যায়।
হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী, মৃতের আত্মার শান্তি ও মুক্তির জন্য শ্রাদ্ধের বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে। সেই আচার অনুষ্ঠান একইরকমভাবে মেনে পিতৃপক্ষেও শ্রাদ্ধের নিয়ম, আচার পালন করেন বহু মানুষ। পিতৃপক্ষের চতুর্দশীতে এই শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান করেন অনেকে।
পিতৃপক্ষের চতুর্দশীতে পরিবারের মৃত সদস্য বা পূর্বপুরুষের উপলক্ষ্যে অন্ন, জল এবং নৈবেদ্য চড়ান। তাঁদের সন্তুষ্ট করেন। পরিবারে যাতে সুখ, সমৃদ্ধি নেমে আসে, তার জন্যই তর্পণের এই বিশেষ নিয়ম, রীতির চল রয়েছে শাস্ত্রে।
ওইদিন শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানের শেষে, ব্রাহ্মণ ভোজন করান অনেকে। ব্রাক্ষ্মণ ভোজনের শেষে তাঁদের হাতে কিছু দক্ষিণাও অনেকে ধরিয়ে দেন। নিজেদের সামর্থ অনুযায়ী ওই দক্ষিণা দেওয়া হয় গৃহস্বামীর তরফে।
বর্তমানে অনেকেই ব্রাক্ষ্মণ ভোজন করান না। সেই সময় গরু, কুকুর, কাক কিংবা পিঁপড়েদের খাবার খাওয়ানোর রীতি রয়েছে এই পিতৃপক্ষে।
এসবের পাশাপাশি পরিবারে যদি কারও অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় কিংবা দুর্ঘটনায়, তাহলে তাঁদের আত্মার যাতে মুক্তি ঘটে এবং তাঁরা প্রেতলোক থেকে মুক্তি পান, তার জন্যও বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। পরিবারের কারও মৃত্যু হলে, তাঁর শ্রাদ্ধ কর্ম যদি সঠিকভাবে না হয়, তাহলে এই সময় তা সম্পন্ন করা হয়।
এই বিশেষ আচার অনুযায়ী গঙ্গা জল, পঞ্চগব্য সহকারে পিতৃপুরুষকে তর্পণ করা হয়। যাতে তাঁর আত্মার মুক্তি ঘটে।