আজ ২৪ জুলাই। বাঙালির মহানায়কের চলে যাওয়ার দিন আজ। ১৯৮০ সালের এই দিনেই প্রয়াত হন বাঙালির রুপোলি পর্দার ম্যাটিনি আইডল, হার্টথ্রব উত্তম কুমার। ৪২ বছর অতিক্রান্ত চলে গিয়েছেন অরুণ চ্যাটার্জী, যিনি নিজেই ছিলেন গোটা একটা ইন্ডাস্ট্রি । আজও বাঙালির মননে একই রকম আবেগ ও শ্রদ্ধা উত্তম কুমারকে নিয়ে। স্বাভাবিক ভাবে মনে এই প্রশ্ন জাগতেই পারে যে, কেন? ৪২ তম মৃত্যুদিবসেও মহানায়কের এমন অমোঘ আকর্ষণ কেন? আসলে, আসলে প্রতিভার সঙ্গে শ্রম আর সঙ্কল্প তাঁকে এই অনন্য উচ্চতায় তুলে আনে। প্রথম থেকেই তিনি 'উত্তম' ছিলেন না। প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি দৃষ্টিদান থেকে সঞ্জীবনী অবধি পরপর সাতটি ছবি ফ্লপ। স্টুডিও পাড়ায় নাম হয়েছে ফ্লপ মাষ্টার জেনারেল, জুটছে বিদ্রুপ আর টিপ্পনি।সেই সময় নির্মল দে তাঁকে নিলেন তাঁর নতুন ছবিতে।১৯৫২ সালে মুক্তি পেল নির্মল দে পরিচালিত বসু পরিবার । ঘুরে দাঁড়ালেন উত্তম। বাকিটা ইতিহাস। পায়ের তলায় এক চিলতে জমির জন্য লড়তে হয়েছে এক ভয়ঙ্কর লড়াই। অভিনয়ের নেশা আর অভিনয় ক্ষমতাকে ভর করেই ঘুচিয়ে দিয়েছিলেন ফ্লপ মাস্টার তকমা।
Remembering #UttamKumar, the uncrowned king of Bengali cinema and one of India's most versatile actors, on his 42nd death anniversary (24/07).
What are your favourite Uttam Kumar films? pic.twitter.com/nuw13EFfC0
— Bollywoodirect (@Bollywoodirect) July 24, 2022
১৯৫৫-র আগের উত্তমের সঙ্গে পরবর্তী উত্তমকে প্রায় মেলানোই যায় না। আবার ১৯৬০-উত্তর উত্তম যেন আরও এক বিস্ময়। ১৯৬৫ পরবর্তী সময়ে উত্তম যেন প্রায় ধরাছোঁয়ার বাইরে। ততদিনে তাঁর চেহারা, অনাবিল হাসি, অকৃত্রিম চাহনির সঙ্গে যুক্ত হয়ে গিয়েছে গভীর রোম্যান্টিক কণ্ঠস্বরে অপূর্ব ডায়ালগ-থ্রোয়িং, অসামান্য ফেসিয়াল এক্সপ্রেশন এবং চরিত্র ও পরিপার্শ্ব মিলিয়ে সহজ কিন্তু নিটোল অভিব্যক্তি। তখন সাধারণ মানের গল্প, সাধারণ চিত্রনাট্য, সাধারণ সহ-অভিনেতাদের নিয়েও তিনি তাই বাংলা ছবির জুলিয়াস সিজার। সেই মহানায়কের ম্যাজিক আজও একই রকম অব্যাহত।
Remembering The Legend of Indian Cinema, Mahanayak Uttam Kumar
On his Death Anniversary. 🙏
You are immortal in the world of Cinema. You are the one and only #Mahanayak in true sense.#MahanayakUttamKumar #BKEntertainment pic.twitter.com/p3cbBE6gqD
— BK Entertainment (@BK_EntOfficial) July 24, 2022