প্রতীকী ছবি(Photo Credit: Pixabay)

টেক্সাস, ১১ জুলাই: পোষা কুকুরকে নিয়ে সবারই একটা ভাললাগার জায়গা থাকে। কিন্তু সেই পোষা কুকুর যখন স্নেহের পরশকেই লোভাতুর দৃষ্টিতে দেখে তখন তো প্রকৃতির কাছে আরও করুণভাবে অসহায় হয়ে পড়ে মানুষ। জৈবিক কারণে প্রিয় প্রভুকেই ছিঁড়ে খায় সে। না কোনও নীতিবাক্য নয়, এমনটাই ঘটেছ টেক্সাসের ভেনাস নামক এলাকায় ১৮ কুকুরকে নিয়ে থাকতেন বছর ৫৭-র ফ্রেডি ম্যাক। সেই বাড়িতেই প্রিয় পোষ্যরা তাঁকে নিশ্চিহ্ন করে দিল। মাস কানেক ফ্রেডির খবর না পেয়ে খোঁজ করতেই এই ভয়ঙ্কর ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। আরও পড়ুন-অতিরিক্ত লাগেজ ফি দেবেন না, ১৫টি জামা পরেই বিমান উঠলেন এই ব্যক্তি, ভিডিও ভাইরাল

আস্ত লোকটা বেমালুম উধাও! এক জোড়া জুতো ছাড়া আর কিছু অবশিষ্ট নেই। জামা-কাপড়ের ছেঁড়া ফাটা টুকরোও নয়। বাড়িতে ছড়িয়ে শুধু কয়েকটা হাড়। সেগুলোও যেন চিবিয়ে রাখা হয়েছে। ব্যক্তির পোষ্য ১৮টা জাঁদরেল কুকুরের হাবভাবও একটু অন্যরকম। তাহলে কি যা ভাবা হচ্ছে তাই? এই কুকুরদের পেটেই গিয়েছেন তাদের মালিক? তদন্ত করতে গিয়ে শিউরে উঠেছিলেন পুলিশ কর্তারা। মে মাস থেকে নিঁখোজ ছিলেন ফ্রেডি, একা মানুষ। ভেনাসের এত বড় অ্যাপার্টমেন্টে মানুষ বলতে একাই থাকতেন তিনি, সঙ্গী ছিল ১৮টি হিংস্র কুকুর। তাদের ভয়ে আত্মীয় স্বজনরা কেউ ফ্রেডির ধারেকাছে যেতেন না। ফ্রেডিই মাঝে মাঝে সকলের সঙ্গে দেখা করে আসতেন।দীর্ঘ একমাস ম্যাকের খোঁজ না পেয়ে পুলিশে খবর দিয়েছিলেন তাঁর আত্মীয়েরা। এর পরেই তল্লাশি শুরু করে পুলিশ।জনসন কাউন্টি শেরিফ অ্যাডাম কিং জানিয়েছেন, ভেনাস ও তার আশপাশের এলাকায় কোনও খোঁজ মেলেনি ম্যাকের। ৫৭ বছরের ম্যাক শান্ত স্বভাবের ছিলেন। বাড়িতে কুকুরদের সঙ্গে সময় কাটাতেই বেশি পছন্দ করতেন। সন্দেহটা দানা বাঁধে সেখান থেকেই। শেরিফের কথায়, ম্যাকের বাড়িতে ঢুকতে গেলেই বাধা দিচ্ছিল কুকুরগুলো। গোটা বাড়িটা ঘিরে রেখেছিল তারা। তাই প্রথমে ড্রোন উড়িয়ে ভিতরের হাল হকিকত নজর রাখছিলেন তাঁরা।

তিনি বলেন, “ড্রোন নামিয়েই দেখি বাড়ির কয়েকটি জায়গায় পড়ে রয়েছে চেবানো, ভাঙাচোরা হাড়। ব্যাপারটা মোটামুটি আন্দাজ করে কুকুরদের প্রথমে বাড়ি থেকে সরানো হয়। পরে দেখি কুকুরদের পটিতে রয়েছে মানুষের চুল, জামার ছেঁড়া অংশ,” শেরিফ অ্যাডাম কিং বলেন, যে জামার অংশ মিলেছে, এমন জামা ম্যাকই পড়তেন। কুকুরের পটি আর হাড়ের টুকরো ফরেন্সিক ল্যাবোরেটরিতে পাঠানো হয়েছে।