গাছই বাঁচায় প্রাণ, তাই গাছের প্রাণ বাঁচাতে এবার অ্যাম্বুল্যান্স এল চেন্নাইতে। একদল পরিবেশবিদের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় সফল হল সে উদ্যোগ। কেউ নির্মাণ কাজের জন্য গাছ কাটতে চাইলে আগে এই অ্যাম্বুল্যান্সকে খবর দিন, নিজেরা কাটবেন না। এরা এসেই গাছ তুলে নিয়ে যাবে। শুধু নিয়ে যাবে এমনটাই নয়, সেই গাছ পোঁতাও হবে অন্য জায়গায়। সাইক্লোন ফনির তাণ্ডবে পুরী থেকে শুরু করে দেশের দক্ষিণ পূর্ব উপকূলের প্রচুর গাছ ভেঙে গিয়েছে, উপড়ে পড়েছে। এরপরই পরিবেশবিদ কে আব্দুল ঘানি ট্রি অ্যাম্বুল্যান্স তৈরির প্রস্তাব দেন। এই অ্যাম্বুল্যান্সই ঝরে উপড়ানো গাছ তুলে এনে অন্য জায়গায় রোপণের বন্দোবস্ত করেছেন। এভাবেই চলছে গোটা উদ্যোগ। ঝরে পড়া গাছ তুলে এনে নতুন করে রোপণের টেকনিক বেশ শক্ত, তবে যতই শক্ত হোক সেই কাজই করতে উদ্যোগী হয়েছে চেন্নাইয়ের ট্রি অ্যাম্বুল্যান্স(Tree balancece)। শুধু সময়মতো খবরটা পেতে হবে।
আইডিয়াটি প্রথম এসেছিল পরিবেশ আন্দোলনকারী কে আবদুল ঘানির(K Abdul Ghani) মাথায়। ভারতের সবুজ মানুষ, গ্রিন ম্যান অফ ইন্ডিয়া বলে পরিচিত আবদুল চল্লিশ লক্ষ গাছ পুঁতেছেন দেশে। আরও অনেক সামাজিক আন্দোলনে তাঁর নাম সামনে এসেছে বারবার। একটি বেসরকারি সংস্থার কাছে তিনি এই প্রস্তাব রাখলে, কাজ শুরু হয় বিষয়টি নিয়ে। উপড়ে যাওয়া গাছকে নিয়ে গিয়ে অন্য জায়গায় লাগানোর পাশাপাশি, এই অ্যাম্বুল্যান্স বিভিন্ন জায়গায় বয়ে নিয়ে বেড়াবে নানা গাছের বীজও। শহরের মানুষদের মধ্যে গাছ লাগানো-সংক্রান্ত সমস্ত রকম সচেতনতা ও সাহায্য করবে তারা। কোনও গাছ মারা গেলে, তার অংশগুলো ঠিক জায়গায় পৌঁছেও দেবে তারা। এতদিনে সেই অ্যাম্বুল্যান্সের উদ্বোধন হল।
শহরকে বড় করতে দিনের পর দিন বৃক্ষ নিধন যজ্ঞ চলে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।কেউ বা রাস্তা তৈরিতে কেউ বা বাড়ি বা অন্য কোনও নির্মাণে নির্বিচারে গাছ কেটে চলেছেন। এই গাছ কাটাকেই অভিনব উপায়ে রুখবে অ্যাম্বুল্যান্স ট্র্রি। এই প্রসঙ্গে অ্যাম্বুল্যান্স প্রকল্পের উদ্যোক্তা কে আবদুল ঘানি, বলেন, “কত গাছ ঝড়ে উপড়ে যায়। পড়ে পড়ে মারা যায় সেগুলি। নতুন করে লাগানোর ব্যবস্থা করাই হয় না। এই অ্যাম্বুল্যান্স আর তা হতে দেবে না। হেল্পলাইনে ফোন করামাত্র আমরা অ্যাম্বুল্যান্স(Chennai) নিয়ে পৌঁছে যাব, বিনামূল্যে গাছটিকে সরিয়ে আনব।”