Credits: Flickr

আমাদের খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনধারা আমাদের স্বাস্থ্যের উপর গভীর প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে আমাদের খাদ্যাভ্যাসের প্রভাব পড়ে আমাদের প্রজনন ক্ষমতার ওপর। এছাড়া পুরুষদের প্রায়ই বন্ধ্যাত্ব সংক্রান্ত সমস্যার সম্মুখীন হতে দেখা যায়। সম্প্রতি একটি গবেষণায় জানা গেছে, যেসব পুরুষের শুক্রাণু কম তৈরি হয় বা নেই তাদের পরিবারে ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। শুক্রাণু না থাকলে পুরুষদের মধ্যে হাড় এবং জয়েন্টের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়, এছাড়া লিম্ফ, নরম টিস্যু এবং থাইরয়েড ক্যান্সার ঝুঁকিও বৃদ্ধি পায়। গবেষণায় দুর্বল প্রজনন ক্ষমতা সম্পন্ন পুরুষদের পরিবারে ক্যান্সারের ঝুঁকির কিছু নমুনা পাওয়া গেছে।

গবেষণায় পাওয়া গেছে, পুরুষদের বীর্যের প্রতি মিলিলিটারে শুক্রাণুর সংখ্যা ১.৫ মিলিয়নের কম হলে হাড় ও জয়েন্টের ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি হচ্ছে। শুক্রাণুর সংখ্যা কম হওয়াকে বলা হয় অলিগোস্পার্মিয়াও। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুসারে, শুক্রাণুর সংখ্যা ১৬ মিলিয়ন/মিলিমিটারের কম হলে গণনা অনুযায়ী কম শুক্রাণু হয়। পুরুষের অন্ডকোষে শিরা বড় হয়ে যাওয়া, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, অতিরিক্ত ধূমপান, অ্যালকোহল পান করা, ওষুধের ব্যবহার এবং স্থূলতা, দীর্ঘস্থায়ী স্বাস্থ্য সমস্যা, সার্জারি বা সংক্রমণ এবং মোবাইল বা ল্যাপটপের বেশি ব্যবহার কারণ হতে পারে অলিগোস্পার্মিয়ারের।

চিকিৎসকদের মতে, অলিগোস্পার্মিয়ায়ের কোনও বাহ্যিক লক্ষণ নেই যাতে বোঝা যাবে যে শুক্রাণুর সংখ্যা কম। তবে বীর্যপাতের সময় বীর্যের পরিমাণ কম হওয়া, জলযুক্ত বীর্য, অন্ডকোষে ব্যথা বা ফুলে যাওয়া, ঘন ঘন শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ এবং পুরুষদের স্তনের টিস্যু বড় হয়ে যাওয়া হল এর কিছু লক্ষণ। চিকিৎসকদের মতে, কম শুক্রাণুর সংখ্যা সরাসরি ক্যান্সার সৃষ্টি করে না, এটি একটি সূচক হিসেবে ধরা হয় যে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়তে পারে।