সাধে আর জলের(Water) নাম জীবন নয়, এর পিছনে রয়েছে হাজারটা কারণ। একমাত্র জল পান করেই মিলতে পারে স্বস্তি, তৃষ্ণা। কমতে পারে বিবিধ জটিল রোগের সম্ভাবনা। শুধু শরীর সুস্থ রাখাই নয়, চনমনে সতেজ ও সুন্দর থাকতে জলের বিকল্প কিছুই নেই। বিজ্ঞান বলছে, জীবনকে উপভোগ করতে হলে জল আপনাকে খেতেই হবে। আর যৌনতা তো নিঃসন্দেহে উপভোগের বিষয় তাই না।
পর্যাপ্ত জল পানের ফলে শরীরে রক্তের স্বাভাবিক পরিমাণ বজায় থাকে। ফলে প্রতিটা অঙ্গ প্রত্যঙ্গে রক্ত সংবহন ভালো হয়। আর রক্তের সঙ্গে কোষে কোষে অক্সিজেন, পুষ্টি উপাদান সরবরাহও ভাল হয়। যা দেহের প্রতিটা কলা-কোষকে সতেজ করে, উদ্দীপিত করে মস্তিষ্কের যৌন কেন্দ্রকে। ফলে যৌন হরমোনের ক্ষরণ বৃদ্ধি পায়। যা যৌনাঙ্গের সক্রিয়তা বাড়ায়। এই যৌথ প্রভাবে ভালবাসার মানুষের প্রতিটা স্পর্শেই সাড়া দেয় শরীর। মিলন আরও উপভোগ্য হয়ে ওঠে। বিশেষজ্ঞদের মতে, জলে সিক্ত শরীরে মিলনের উত্তেজনা যেমন চরম সীমায় পৌঁছয় তেমনই তার রেশ থাকে দীর্ঘক্ষণ। গ্রীষ্মের ব্যস্ত দিনের শেষে যখন আর ন্যূনতম এনার্জিও অবশিষ্ট থাকে না তখন যৌন মিলন তো দূরের কথা শয্যাসঙ্গীর সামান্য স্পর্শও উপভোগ্য হয় না। এই অবসন্নতার জন্য জল কম খাওয়াকেই দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, পর্যাপ্ত জলের অভাবে দেহকোষ শুকিয়ে যায়। ফলে কাছের মানুষকে পাশে পেয়েও মিলন সুখের হয় না। উলটোদিকে পর্যাপ্ত জল পানে শরীর শীতল হয়, আরও উষ্ণ হয় মিলনের মুহূর্ত।
জল তো শুধু দেহকোষকে সিক্ত রাখে না, সঙ্গে দেহের প্রতি প্রান্ত থেকে বিপাকজাত বর্জ্য শরীর থেকে বের করে দেয়। ফলে দেহে বিষক্রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়। শরীর ও মন দুই-ই চনমনে হয়ে ওঠে। যে কোনও মুহূর্তই হয়ে উঠতে পারে আরও ঘনিষ্ঠ। শুধু তাই নয়, পর্যাপ্ত জল দেহে যৌন হরমোনের ক্ষরণেও সাহায্য করে। যার প্রভাবে কামোন্মাদনা বাড়ে। মিলন মধুর হয়।