কলকাতা: বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের শরীরে ক্রমাগত পরিবর্তন ঘটতে থাকে। এই পরিবর্তনগুলি কেবল বাইরে থেকেই নয়, শরীরের ভিতরেও ঘটতে শুরু করে। ৩০ বছর বয়সের পরে একজন মহিলার (Women) জীবনে অনেক পরিবর্তন আসে। প্রতিদিনের দৌড়ঝাঁপ এবং পারিবারিক দায়িত্বের মাঝে অনেক নারীই তাঁর স্বাস্থ্য উপেক্ষা করেন। স্বাস্থ্যের প্রতি অসতর্কতা কখনো কখনো তাঁদের জন্য ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়ায়। বিশেষ করে ৩০ বছর বয়সের পর নারীদের শরীরে এমন অনেক পরিবর্তন হয়, যার কারণে তাদের শারীরিক ও মানসিক সমস্যায় পড়তে হয়।
স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ অরুণা জানাচ্ছেন, ৩০ এর পর নারীদের প্রথমে অস্টিওপোরোসিসের সমস্যা শুরু হয়। এটি ঘটার কারণ তাঁদের পেশীর ভর কমতে শুরু করে। এছাড়াও এই সমস্যাটি হওয়ার কারণ এই সময়ে মহিলারা প্রয়োজনীয় শারীরিক কার্যকলাপও করি না। অস্টিওপোরোসিস এবং আলগা পেশীর কারণে, মহিলারা প্রায়শই ক্লান্তি, অস্থির লেগ সিন্ড্রোম, দুর্বলতা এবং ৩০ বছর বয়সের পরে কাজ করার ক্ষমতা হ্রাস অনুভব করেন।
পিরিয়ডের অনিয়ম
৩০ বছর বয়সের পর পিরিয়ডের ক্ষেত্রেও অনেক ধরনের অনিয়ম দেখা যায়।ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরনের পরিবর্তনের কারণেও মাসিক চক্র পরিবর্তন হয়। এ কারণে অনেক সময় রক্তপাত কমতে থাকে। একই সময়ে, পিরিয়ডের পরের দিন, অনেক সময় প্রচণ্ড রক্তপাত শুরু হয়।
মানসিক সমস্যা
মহিলাদের ৩০ বছর বয়সের পর জীবনধারা এবং কিছু অভ্যাসের কারণে বিষণ্নতা, মানসিক সমস্যাগুলিও ঘটতে শুরু করে। শারীরিক পরিশ্রম ও পুষ্টিকর খাবারের অভাব, অতিরিক্ত পার্টি করা, অ্যালকোহল-ধূমপান ইত্যাদি এসব মানসিক সমস্যার প্রধান কারণ। এই সমস্যাগুলি এড়াতে, আপনার একটি স্বাস্থ্যকর জীবনধারা অবলম্বন করা এবং আপনার ঘুম ও খাদ্যাভাসে যথাযথ পরিবর্তন করা গুরুত্বপূর্ণ।
৩০ বছর বয়সের পর মহিলাদের প্রজনন সম্পর্কিত সমস্যা শুরু হয়। তাই ৩৫ বছর বয়সের আগে গর্ভধারণের পরিকল্পনা করাই ভালো। আসলে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ডিম্বাণুর গুণমান ও সংখ্যা কমতে থাকে। এ ছাড়া ইস্ট্রোজেনের অভাবে চুল পড়া, বলিরেখা ও ত্বক সংক্রান্ত নানা সমস্যা দেখা দেয়।