গ্রীষ্মকাল শুরু হওয়ার সঙ্গে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে শুরু হয়েছে অসহ্য গরম। এমন পরিস্থিতিতে শিশু থেকে বৃদ্ধা সব বয়সের মানুষের সতর্ক থাকা দরকার। গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে বেড়ে যায় হিট স্ট্রোকের ঝুঁকিও। এই হিট স্ট্রোক প্রতিরোধ করার জন্য খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রায় পরিবর্তন করা খুবই জরুরি। এমন পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞরা প্রায়ই বাইরের খাবার না খাওয়ার পরামর্শ দেন। দূষিত খাবার ও জলের কারণে জন্ডিস হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়, এর ফলে জ্বর, বমি, ক্লান্তির মতো সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়া গরমে বাইরের অস্বাস্থ্যকর খাবার ও জলের জন্য ডায়রিয়া ও টাইফয়েডের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। এই সময় পাঁচ দিনের বেশি জ্বর থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
রোদে বের হওয়ার জন্য অনেকের ত্বকে ফুসকুড়ি হয়। অতিরিক্ত ঘামের কারণে শরীরে লাল ফুসকুড়ি বা অন্যান্য ত্বক সম্পর্কিত সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। এছাড়াও গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে বেড়ে যায় হিট স্ট্রোকের ঝুঁকিও। এর ফলে অজ্ঞান হয়ে যাওয়া এবং বিভ্রান্তি থেকে শুরু করে খিঁচুনির মতো বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। এই সময় বেশিক্ষণ রোদে থাকা এড়িয়ে চলা উচিত। যদি প্রচণ্ড গরমে কাজ করতে হয় তাহলে বেশি করে জল পান করা উচিত। প্রচুর জল পান করার পাশাপাশি এই সময় ডাব বা নারকেলের জল খাওয়া ভালো। গরমে অতিরিক্ত ঘামের কারণে শরীরে লবণের ঘাটতি দেখা দেয়, ডাব বা নারকেল জল সেই ঘাটতি পূরণ করে।
বমি বা ডায়রিয়ার সমস্যা দেখা দিলে ওআরএস সলিউশন বা শিখাঞ্জি তৈরি করে পান করা যেতে পারে। রক্তচাপের সমস্যা না থাকলে নুন লেবুর জলও উপকারী। এছাড়াও গরমে দই ও লস্যি খাওয়া যেতে পারে। এর ফলে শরীর ডিহাইড্রেট না হওয়ার পাশাপাশি পেটে ঠান্ডা থাকে। সারাদিনে অন্তত ২ লিটার জল পান করা জরুরি। এর সঙ্গে খেতে হবে নারকেল জল, লস্যি, কমলালেবু, তরমুজের মতো মৌসুমি ফল। এছাড়া অতিরিক্ত রোদ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করতে হবে।