কম বয়সীদের বেশি হয় নিউমোনিয়ার সমস্যা। তবে যেকোনও বয়সে নিউমোনিয়া হতে পারে। নিউমোনিয়া ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটায়। নিউমোনিয়ার কারণে ফুসফুসে জল ও পুঁজ ভর্তি হওয়ার কারণে শ্বাসকষ্ট, পুঁজ এবং কফের মতো সমস্যা দেখা দেয়। নিউমোনিয়ার কারণে ফুসফুস ফুলে যায় এবং মাঝে মাঝে জলে ভরে যায়। নিউমোনিয়া ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাক সহ অনেক সংক্রামক এজেন্ট দ্বারা সৃষ্ট হয়। সময়মতো এর চিকিৎসা না করালে এটি মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।

শিশু নিউমোনিয়ার বিরুদ্ধে ২০০৯ সালের ১২ নভেম্বর গ্লোবাল কোয়ালিশন কর্তৃক প্রথমবার পালন করা হয় বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস। এরপর থেকে প্রতিবছর নতুন নতুন থিমের মাধ্যমে পালন করা হয় এই দিনটি। বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবসে বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচির আয়োজন করা হয় এবং এই রোগ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করা হয়। নিউমোনিয়া সাধারণত ঠান্ডা দিয়ে শুরু হয়। যখন ফুসফুসে সংক্রমণ দ্রুত বাড়তে থাকে, তখন প্রচণ্ড জ্বরের সঙ্গে শ্বাস নিতেও অসুবিধা হয়। বুকে ব্যথার সমস্যা দেখা দেয়।

৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের জ্বর হয় না তবে কাশি এবং শ্বাসকষ্ট হতে পারে। গোটা বিশ্বে ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের মৃত্যুর প্রধান কারণ নিউমোনিয়া। নিউমোনিয়া সহজেই প্রতিরোধযোগ্য এবং চিকিৎসাযোগ্য হওয়া সত্ত্বেও প্রতি ২০ সেকেন্ডে একটি শিশু সংক্রমণে মৃত্যু হয়। তবে সময়মতো চিকিৎসা করালে রোগী সুস্থও হতে পারে। তাই বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস পালনের উদ্দেশ্য হল এই রোগ সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা। কি কারণে এই রোগ হয় এবং চিকিৎসা সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা হয় এই দিনে।