প্রতি বছর ১০ নভেম্বর পালন করা হয় বিশ্ব টিকাদান দিবস। এই দিনটি পালন করার উদ্দেশ্য হল টিকা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়া। কিছু রোগ এড়াতে শিশুদের শৈশবে ওষুধ বা ইনজেকশন দেওয়া হয় যাতে তারা বড় হয়ে সেই রোগের ঝুঁকি এড়াতে পারে। শিশুদের টিকা দেওয়ার বিষয়ে সচেতন করার জন্য অনেক ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় বিশ্ব টিকাদান দিবসে। সময়মতো টিকা নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। টিকা দেওয়ার মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হয়। অনেক দেশের সরকার শিশুদের বিনামূল্যে টিকা দেওয়ার সুবিধা প্রদান করে, কারণ এটি প্রতিটি ব্যক্তির অধিকার এবং অর্থের অভাবে কোনও ব্যক্তিকে এই অধিকার থেকে বঞ্চিত করা উচিত নয়।
যেকোনও দেশের নাগরিকদের স্বাস্থ্যের জন্য টিকাদান একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া যাতে সেখানকার নাগরিকরা নিরাপদে থাকতে পারে এবং তাদের অনেক রোগের ঝুঁকি কমানো যায়। টিকা একটি সাশ্রয়ী প্রক্রিয়া এবং বৃহৎ পরিসরে যেকোনও রোগের বিস্তার রোধ করার একটি কার্যকর উপায়। বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে সুরক্ষার জন্য বিভিন্ন ধরনের টিকা দেওয়া হয়। তুর্কিদের দ্বারা শুরু হয় টিকা দেওয়ার পদ্ধতি। প্রাথমিকভাবে স্মল পক্সের টিকা দেওয়া শুরু হলেও এর ফলে সংক্রমণ কমার পরিবর্তে আরও ছড়িয়ে পড়ে। টিকাদান মারাত্মক রোগ থেকে মানুষের জীবন বাঁচাতে সাহায্য করে। এর ফলে প্রাণঘাতী রোগের ঝুঁকি কমছে এবং এই ধরনের রোগ পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হচ্ছে।
টিকা রোগ এড়ানোর একটি সম্পূর্ণ নিরাপদ উপায়। এটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রোগের হাত থেকে রক্ষা করতেও সহায়ক। ভারতে টিকাদানের অনেক সুবিধা দেখা গিয়েছে এবং সরকার এটিকে সফলভাবে প্রচার করছে। বর্তমানে টিকার সাহায্যে শিশুদের মধ্যে পোলিও, কলেরা, হেপাটাইটিসের মতো রোগের প্রকোপ অনেক কমে গিয়েছে। ভারত ছাড়া অন্যান্য দেশে এই রোগের সংক্রমণ কমেছে। গ্রাম, পঞ্চায়েত এবং শহরের মতো ক্ষুদ্রতম স্তরেও এই ধরনের কর্মশালা এবং অনুষ্ঠানের আয়োজন করা উচিত যেখানে স্থানীয় জনগণকে টিকা দেওয়ার সুবিধা এবং এটি না করা হলে কী ক্ষতি হতে পারে সে সম্পর্কেও তথ্য প্রদান করা হয়।