এখন সুস্থ থাকতে গেলে নিয়মিত সকাল অথবা সন্ধ্যে হাঁটতে হবে চিকিৎসাগরাও পরামর্শ দেন নিয়মিত অন্তত ৩০ মিনিট। হাঁটা কারণ এখন বেশিরভাগ মানুষেরই শারীরিক পরিশ্রম কমে গেছে তাই সারাদিনের মধ্যে ভোর বা সকাল অথবা সন্ধ্যায় হাঁটার পরামর্শদান চিকিৎসকরা এবং অনেকেই নিয়মিত হাঁটেন কিন্তু হাঁটার গতি কতটা হওয়া প্রয়োজন তাও মেনে চলা উচিত।

এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিয়মিত হাঁটা বয়সে কম প্রভাব ফেলে। এছাড়া যারা দৌড়ায় তারা হাঁটার চেয়ে বেশি সুস্থ ও সক্রিয়। দৌড় হার্টকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি পেশীকে শক্তিশালী করে। যারা নিয়মিত দৌড়ায় তাদের শরীর অনেক নমনীয় এবং সক্রিয় থাকে। গবেষণায় আরও দেখা গিয়েছে, যারা দৌড়ায় তারা দ্রুত চর্বি পোড়ায়, যা তাদের শরীরকে সচল রাখে। এককথায় ধীর গতিতে হাঁটা ব্যক্তিরা সম্পূর্ণ সুবিধা নিতে সক্ষম হয় না, যা তাদের স্বাস্থ্যের উপর বড় নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

 গবেষণায় জানা গিয়েছে, হাঁটার গতি ধীর হলে অকালে বার্ধক্যের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে একজন ব্যক্তির হাঁটার গতি কম হলে অকাল বার্ধক্যের ঝুঁকি বেশি থাকে। দ্বিতীয়ত, ধীর গতিতে হাঁটার ফলে পেশীর শক্তি দুর্বল হয়।

ধীর গতিতে হাঁটার তুলনায় দ্রুত হাঁটা মানুষ স্বাস্থ্যবান, গবেষণায় উঠে এসেছে এই তথ্য। যারা দ্রুত গতিতে হাঁটে তাদের কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেম ধীর গতিতে হাঁটা মানুষের তুলনায় অনেক শক্তিশালী। এর অর্থ হল দ্রুত গতিতে হাঁটা ব্যক্তিদের হৃদরোগের ঝুঁকি কম থাকে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে দ্রুত হাঁটার কারণে ফুসফুসের কার্যকারিতা অনেক বেশি শক্তিশালী হয়। এক সমীক্ষা অনুসারে, প্রতিদিনের রুটিনে হাঁটাকে অন্তর্ভুক্ত করলে অর্থাৎ নিয়মিত হাঁটাচলা করলে বয়সের তুলনায় কম বয়সী দেখায়।